ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মেঘনায় ইলিশ ধরায় ২৬ জেলে আটক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৪
মেঘনায় ইলিশ ধরায় ২৬ জেলে আটক

চাঁদপুর: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশ ধরার দায়ে ২৬ জেলেকে আটক করেছে কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ। এসময় জেলেদের হেফাজতে থাকা ৫০ কেজি ইলিশ, ১০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও একটি মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাখাওয়াত জামিল সৈকত।

টাস্কফোর্স থেকে জানানো হয়, বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাত থেকে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত মা ইলিশের প্রজনন রক্ষায় পদ্মা মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় নদীতে মাছ ধরা অবস্থায় ২৬ জেলেকে আটক করা হয়। দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটক ২৬ জেলের মধ্যে ১৭ জেলেকে এক মাস করে কারাদণ্ড এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় বাকি নয় জেলেকে মুচলেকা রেখে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।  

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাখাওয়াত জামিল সৈকত।  

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টা নদীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগ পৃথক অভিযান পরিচালনা করে। তারই ধারাবাহিকতায় ২৬ জেলে আলামতসহ আটক করা হয়। এর মধ্যে ১৭ জেলেকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাকি নয়জন অপ্রাপ্ত হওয়ায় তাদের মুচলেখা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়।  

এছাড়া জব্দকৃত মাছ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ এবং অবৈধ কারেন্ট জালগুলো কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় বলে জানান এই কর্মকর্তা।

ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করতে ১৩ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই সময়ে মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহন করা যাবে না। আইন অমান্য করলে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড এবং উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।