ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পাটের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার: কৃষি উপদেষ্টা 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৪
পাটের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার: কৃষি উপদেষ্টা 

ঢাকা: সরকার পাটের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।  

তিনি বলেন, পাটের তৈরি পণ্য সবচেয়ে বেশি পরিবেশ বান্ধব।

পাটের ভবিষ্যৎ অবশ্যই আছে, এর বহুল ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। পাট শাক, পাটের চাও খাওয়া যায়।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউস্থ বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে গবেষক ও বিজ্ঞানীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। পরে উপদেষ্টা ইনস্টিটিউট এর বিভিন্ন ইউনিট পরিদর্শন করেন।

পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি করে দেশে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হতো উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এখন আর সেই দিন নেই। কৃষক অন্য কিছু উৎপাদন করে লাভবান হয়, তাই পাট চাষে আগ্রহী হয় না। তাই কীভাবে পাটের উৎপাদন বাড়ানো যায়-তা নিয়ে আজকে এ সম্পর্কিত বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত ৫৬ ধরনের পাটজাত আবিষ্কার করেছেন। পাটের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে সরকার সচেষ্ট। পাট চাষে কৃষককে উৎসাহিত করার ওপর গুরুত্ব দেন উপদেষ্টা।

সরকার পলিথিন ব্যবহার বন্ধে শক্ত অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা আরও বলেন, ইতোমধ্যে বাজারে পলিথিনের ব্যবহার অনেক কমে গেছে। আগামীতে পুরোপুরিই বন্ধ হয়ে যাবে, হয়তো কিছু সময় দিতে হবে।


তিনি বলেন, পলিথিন বন্ধ করে এর বিকল্প হিসেবে পাটের তৈরি ব্যাগ বাজারজাতের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের পাটের ব্যাগ নমুনা হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। এখন চেষ্টা করা হচ্ছে-কীভাবে কম  দামে পাটের ব্যাগ সরবরাহ করা যায়।

মতবিনিময়কালে কৃষি উপদেষ্টা পাট বীজ উৎপাদন বাড়ানো, সাশ্রয়ী মূল্যে পাটজাত দ্রব্য সরবরাহের উপায় খোঁজা, কৃষকদের জন্য পাটচাষ লাভজনক করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার জন্য বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান ও বাংলাদেশের পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. নার্গিস আক্তার।  

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৪
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।