চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানা থেকে মনোয়ারা খাতুন (৩০) নামের এক নারী পলায়নের ২৩ ঘণ্টা পর ফের গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে ঝিনাইদহের গাংনা ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পলাতক আসামি মহেশপুর উপজেলার জলিলপুর গ্রামের শাহজাহান মণ্ডলের মেয়ে।
এদিকে এ ঘটনায় ওই সময়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) পবিত্র মণ্ডল, কনস্টেবল সোলাইমান হোসেন ও মিতা খাতুনকে সাময়িক প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গার সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানাকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে গোয়ালপাড়া গ্রাম থেকে ৮৪ বোতল ফেনসিডিল ও একটি সুজুকি জিকজার মোটরসাইকেলসহ মনোয়ারা খাতুন ও তার সঙ্গী নাজমুল হুদাকে আটক করে মহেশপুর ৫৮ বিজিবির গয়েশপুর বিওপির সদস্যরা। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হলে তাকে থানার নারী ও শিশু ডেস্কে রাখা হয়। সকালে বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দৌড়ে থানা থেকে পালিয়ে যান মনোয়ারা।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, থানা থেকে আসামি পলায়নের পর আসামিকে ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেন। বৃহস্পতিবার রাত ৪টার দিকে আমিসহ ডিবি পুলিশ ও র্যাবের একটি টিম ঝিনাইদহের গাংনা ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের তার আত্মীয়বাড়ি অভিযান পরিচালনা তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চুয়াডাঙ্গা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম জানান, নারী আসামিদের নারী ও শিশু ডেস্কে রাখা হয়। ৬টার দিকে বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে দৌড়ে পালিয়ে যান মনোয়ারা। এসময় ডিউটিরত অফিসার চা পান করতে যান। গেটে তখন কেউ ছিলেন না।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনার অনুসন্ধানে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই সময় কর্তব্যরত তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২৪
এসএম