ঢাকা: রাজধাধীন বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন এক প্রবীণ।
রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্র-জনতার হাতে মারধরের শিকার হন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই বৃদ্ধ আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে এসে হঠাৎ ‘জয় বাংলা’ বলে স্লোগান দেন এবং বলতে থাকেন শেখ হাসিনা চলে আসবেন। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা।
এ সময় সেখানে অবস্থান করা বিএনপি-যুবদলসহ ছাত্র-জনতা তাকে মারধরে করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তবে মারধরের সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে বাঁচাতে দেখা গেছে।
হাবিবুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, কেউ এসে নিজেকে ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগ বললেই মারার আগে যাচাই-বাছাই করা উচিত। যারা প্রকৃত আওয়ামী লীগ তারা গোপনে ষড়যন্ত্র করে মাঠে নিরীহ লোকদের পাঠাচ্ছেন। আর কাউকে পেলেই মারতে হবে কেন? তাকে পুলিশে দিয়ে দিলেই তো ভালো।
এর আগে শনিবার (৯ নভেম্বর) রাত ও রোববার সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থক সন্দেহে কয়েকজনকে মারধর করে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
পল্টন থানা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে সাতজন ও রোববার সকালে ১০ জনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।
পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নাছিরুল আমিন বাংলানিউজকে জানান, কিছু লোক আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছিল। ছাত্র-জনতা তাদের ধরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল প্রতিহত করতে সকাল থেকেই রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট মোড়ে অবস্থান নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। অপর দিকে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে অবস্থান নিয়েছে বিএনপি-যুবদল-মহিলা দলসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সদস্যদেরও সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট ও বঙ্গবন্ধ অ্যাভিনিউত ব্যাপক পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি জিরো পয়েন্টে একটি জলকামান এবং বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে একটি জলকামান ও রায়ট কার দেখা গেছে। বিজিবি সদস্যদেরও গাড়ি নিয়ে পুরো এলাকা টহল দিতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২৪
এসসি/আরবি