ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দোহারে নাজমুল হত্যায় বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৪
দোহারে নাজমুল হত্যায় বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার

ঢাকা: ঢাকার দোহার এলাকায় চাঞ্চল্যকর নাজমুল হত্যাকাণ্ডে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। তারা হলেন, রনি মিয়া ওরফে ডাকাত রনি ও তার ছেলে নাজমুল।

ফরিদপুর জেলার মধুখালী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) র‍্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি তাপস কর্মকার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।  

র‍্যাব জানায়, ঢাকার দোহারের বড় ইকরাশি পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা মো. নাজমুলের সঙ্গে একই থানার বাসিন্দা রনি মিয়া ওরফে ডাকাত রনির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত ১৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আসামিরা কৌশলে নাজমুলকে রায়পাড়া এলাকায় একটি চায়ের দোকানে ডেকে নিয়ে যান।  

পরে সকাল ৯টার দিকে রনিসহ অন্য আসামিরা সেখানে নাজমুলের ওপর অতর্কিত আক্রমণ করেন। একপর্যায়ে রামদা দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে তার নাক দ্বিখণ্ডিত করে দেন। এ ছাড়া তারা নাজমুলের গলা ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন।  

মারধরের একপর্যায়ে নাজমুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামি রনি ও তার ছেলেসহ অন্য আসামিরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন নাজমুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  

এ ঘটনার পর নিহত নাজমুলের মা মোসা. নাছিমা বেগম বাদী হয়ে রনি মিয়াকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা করেন। এতে রনির ছেলে নাজমুলসহ আরও চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়। আর অজ্ঞাতনামা আসামি দুই-তিনজন।

র‍্যাব-১০ এর এএসপি তাপস কর্মকার জানান, আসামিদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি ছায়াতদন্ত শুরু করে র‍্যাব। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার বিকেলে র‌্যাব-১০ এর একটি দল ফরিদপুর জেলার মধুখালী এলাকায় অভিযান চালায়।  

অভিযানে প্রধান আসামি রনি মিয়া ও তার ছেলে মো. নাজমুলকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। গ্রেপ্তার আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে ওই হত্যাকাণ্ডে তাদের সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন। তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৪
এমএমআই/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।