কিছুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষার্থীরা কথায় কথায় রাস্তায় নেমে যাচ্ছে, ভাঙচুর করছে। এর বড় কারণ বর্তমানে ছাত্রদের নেতৃত্ব দেওয়ার কেউ নেই।
বাংলাদেশ যখন প্রতিষ্ঠা হয় তখন কিন্তু এমন ছিল না। ১৯৯১ সালের পর যখন আমরা গণতন্ত্রের মধ্যে এসেছি, তখন থেকেই ছাত্রসংগঠন ও ছাত্রসংসদ নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। অথচ ছাত্রসংসদ একটি নির্বাচিত সংসদ। ছাত্ররাই তাদের ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচন করে। ফলে তারা ওই নির্বাচিত সংসদে তাদের সমস্যা নিয়ে যেতে পারে।
এ ছাড়া আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে— সহিষ্ণুতার অভাব। এর বড় কারণ গত ১৬ বছরের একদলীয় শাসন। এই সময়ে মত প্রকাশের বা কথা বলার স্বাধীনতা ছিল না। অনেকটা স্বৈরশাসনের সংস্কৃতি ছিল। আর এই সময়ে তাদের যে ছাত্রসংগঠন ছিল তা হিংস্র হয়ে পড়ে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে উত্তরণে তিনটি বিষয় খুবই প্রয়োজন। প্রথমত, আমাদের দেশে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রসংসদ নির্বাচন হওয়াটা খুব জরুরি। যাতে তাদের রাস্তায় নামতে না হয়। তারা ছাত্রসংসদের মাধ্যমে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে। আর তৃতীয় যে বিষয়টি দরকার তা হচ্ছে, ছাত্রসংগঠনগুলো শক্তিশালী হওয়া। তবে ছাত্রসংগঠন এমন হতে হবে, তারা যেন ক্ষমতাসীন দলের লেজুড়বৃত্তি না করে। সেটা মোটেও বাঞ্ছনীয় না। আর এগুলোর মধ্য দিয়েই ছাত্ররা তাদের গণতান্ত্রিক ও সাংস্কৃতিক মতামত প্রকাশ করতে পারবে।
লেখক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক।
অনুলিখন : শরীফুল আলম সুমন
বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৪