ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বিশ্বনাথে আগুনে পুড়ল ৪ বসতঘর, ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২৪
বিশ্বনাথে আগুনে পুড়ল ৪ বসতঘর, ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সিলেট: বিশ্বনাথে আগুনে চার বসতঘর পুড়ে অন্তত ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

 রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের নওধার মাঝপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  

স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় নওধার মাঝপাড়া গ্রামে আব্দুন নূরের ছেলে ইলিয়াস আলীর আধাপাকা ঘরে আগুন লাগে। ওই সময় ঘরে লোকজন ছিলেন না। আশপাশের লোকজন আগুনের ফুলকি দেখে ঘরের তালা ভেঙে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে ইলিয়াস আলীর ভাই আফতাব আলী, আসাব আলী ও তাদের বাবা আব্দুন নুরের ঘরে। এতে চারটি ঘরের মালামাল, আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।  

রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মকন মিয়া বলেন, আগুনের ভয়াবহতা দেখে বিশ্বনাথ থানায় খবর দেয়। থানা থেকে নাম্বার নিয়ে ফায়ার সার্ভিসে ফোন করে জানানো হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় আড়াইঘণ্টার চেষ্টার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। এরই মধ্যে ইলিয়াস আলীর ঘর ছাড়াও তার ভাই আফতাব আলী, আসাব আলী ও তাদের বাবা আব্দুন নুরের বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।  

ভুক্তভোগীর জানান, ৪টি বসতঘরের ১২টি কক্ষ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তাদের পরনের কাপড় ব্যতীত সব কিছু আগুনে পুড়ে গেছে। এখন পরিবারের লোকজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে।

নওধার গ্রামের সেবুল মিয়া বলেন, আগুন লাগার পর থেকে প্রতিবেশী হিসেবে আমরা এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যর্থ চেষ্টা করি। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে থানা থেকে ফায়ার সার্ভিসের নাম্বার এনে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু ঘটনাস্থল উপজেলা সদর থেকে প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়াতে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসতে দেরি হয়। এরইমধ্যে চারটি বসতঘর সম্পূর্ণ ভম্মিভূত হয়ে যায়।  

বিশ্বনাথ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স’র কর্মকর্তা আকরামুল হোসেন বলেন, খাবার পাওয়ার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসের ১০ সদস্যের সমন্বয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নেভাতে সক্ষম হই।

তিনি বলেন, প্রথম গ্যাস থেকে আগুন লাগার খবর পাই। নিয়ন্ত্রণে আনার পর দেখতে পাই বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এতে চার পরিবারের অন্তত ২০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। তবে কেউ হতাহত হননি।

এসময় বিশ্বনাথ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) পান্না লাল দে বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে থানা থেকেও ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। সেই সঙ্গে তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে কৌতূহলী জনতাকে সরিয়ে আগুন নেভােত সহায়তা করি। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। বন্ধ ঘরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২৪
এনইউ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।