ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধের ঘটনায় আব্দুল্লাহ (১৩) নামে আরেক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ঘটনাটিতে চারজনের মৃত্যু হলো।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আব্দুল্লাহর মৃত্যু হয়।
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর ভোরে মিরপুর-১১, ৫ নম্বর অ্যাভিনিউ, সি ব্লকের ১৬ নম্বর রোডের একটি বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে দগ্ধ হন রং মিস্ত্রি আব্দুল খলিল (৪০), তার স্ত্রী রুমা আক্তার (৩২), তিন ছেলে হাফেজ আব্দুল্লাহ (১৩), মাদরাসা ছাত্র মোহাম্মদ (১০) ও ইসমাইল (৪)। আর পাশের বাসার ভাড়াটিয়া গার্মেন্টসকর্মী মো. শাহজাহান (২৫) ও তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার পারভিন (২২)।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. শাওন বিন রহমান জানান, আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল্লাহর মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ৩৮ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ২০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে চিকিৎসাধীন তার ছোট ভাই ইসমাইল। আর প্রতিবেশী স্বপ্নার ১৪ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি থাকলেও তার স্বামী শাহজাহান সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন।
মৃত আব্দুল খলিলের ভাতিজি নাসিমা আক্তার রুপালি জানান, তাদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার চর বাঙলাবাজার গ্রামে। তিন ছেলেসহ তার চাচা-চাচি মিরপুরের ওই বাসায় ভাড়া থাকেন। তাদের পাশের বাসায় ভাড়া থাকেন ওই দম্পতি। গত ২৪ নভেম্বর ভোরে তিনি খবর পান ওই বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে। তারা সবাই দগ্ধ হয়েছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
খলিলের ভায়রা আব্দুল হালিম জানানs, ওইদিন ভোরে খলিল যখন মশার কয়েল জ্বালানোর জন্য দিয়াশলাই জ্বালান তখনই জমে থাকা গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণ ঘটে।
দগ্ধ শাহজাহান জানান, ওই রাতে তারা বাসায় ঘুমিয়েছিলেন। ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। ঘুম ভাঙতেই দেখেন চারদিকে আগুন জ্বলছে। তাদের শরীরে আগুন লেগে গেছে। তখন নিজেরাই বাসার বাইরে বের হন।
তিনি আরও জানান, তাদের বাসায় কোনো গ্যাস সিলিন্ডার নেই। বাসার সামনে দিয়ে গ্যাস লাইন রয়েছে। দু-দিন আগে রাস্তার পাশে সেই গ্যাসলাইনে হঠাৎ আগুন জ্বলে উঠেছিল। পরে স্থানীয়রা সে আগুন নেভান। তার ধারণা, সেই লাইন থেকে লিকেজ হয়ে তাদের রুমের ভেতর গ্যাস জমে ছিল। তার জন্য বিস্ফোরণ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২৪
এজেডএস/আরবি