ঢাকা: মাইজভাণ্ডার দরবার আল্লাহ পাকের বিশেষ রহমতের স্থান। জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে সব মানুষের পরিত্রাণের উসিলা মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফে আধ্যাত্মিক মনীষী আওলাদে রাসূল (দ.) শাহসুফি মাওলানা সৈয়দ আবুল বশর আল-মাইজভাণ্ডারী (ক.)’র বার্ষিক ওরশ শরীফ ও খলিফা সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন দরবারের বর্তমান ইমাম ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভাণ্ডারী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী।
আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারিয়া ও হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের যৌথ আয়োজনে ওরশ শরিফের কর্মসূচিতে মাজার শরিফে গিলাফ চড়ানো, খতমে কুরআন মজিদ, খতমে গাউসিয়াসহ বিভিন্ন খতম, হুজুরের জীবনী আলোচনা, মাইজভাণ্ডারী খলিফাদের সুফিবাদী দর্শন প্রচারে বিশেষ দিক-নির্দেশনা, শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, মিলাদ মাহফিল ও আখেরি মুনাজাতসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
এ সময় মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফ থেকে খেলাফতপ্রাপ্ত খলিফাদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন, তাসাউফ ও সুফিবাদ ইসলামের মূল নির্যাস। আত্মশুদ্ধি, নৈতিকতার উন্নয়ন খোদাভীতির চেতনা জাগ্রত করাই হচ্ছে সুফিবাদী ও মাইজভাণ্ডারী দর্শনের মূল কথা। মানুষে মানুষে ঐক্য গড়ে তোলা ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতিপূর্ণ মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রেরণাই হচ্ছে সুফিবাদের মূল কার্যক্রম। বর্তমানে জাতির এ ক্লান্তিকালে বুদ্ধিভিত্তিক উপায়ে প্রতিটি স্তরে সুফিবাদী অসাম্প্রদায়িক সাম্যবাদী মানবিক ও উদারনৈতিক দর্শন ছড়িয়ে দিতে পারলেই সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরে শান্তি-শৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আঞ্জুমানে রহমানিয়া মাইজভাণ্ডারিয়ার সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান মাইজভাণ্ডারী, হযরত সাঈদ মইনুদ্দিন আহমেদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী মহসীন চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনির হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মো. আসলাম হোসাইন, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়া, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান হারুন, মুন্সীগঞ্জ জেলা সভাপতি মো. আব্দুল বারী, খলিফা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, খলিফা মোহাম্মদ আবুল কাশেম, মাওলানা বাকের আনসারী, হাফেজ মাওলানা মুফতি মাকসুদুর রহমান, হাফেজ মাওলানা নাজেম হোসাইন, মাওলানা কেরামত আলী প্রমুখ।
মিলাদ কিয়াম শেষে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ, দেশ ও বিশ্ববাসীর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন শাহসুফি মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল-হাসানী।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪
আরবি