ঢাকা, সোমবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে গণমানুষের ঢল

অতিথি করেসপন্ডেন্ট, মাহিদুল মাহিদ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৪
শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে গণমানুষের ঢল

সাভার (ঢাকা): আজকের এদিনে পরাধীনতার শিকল ছিঁড়ে মুক্তির স্বাদ পেয়েছে বাঙালি জাতি। দিনটির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পরে গণমানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটক। পরে দলে দলে মানুষ স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে বিজয়ের স্বাদ নিতে। নামে গণমানুষের ঢল।

দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে যে বিজয় পেয়েছে বাঙালি, সেই বিজয়ের দিনে শহীদদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছে জাতি। বিজয়ের আনন্দে দলে দলে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করছে মানুষ।  

পোশাকশ্রমিক মশিউর রহমান বলেন, আমি আমার পরিবার নিয়ে সকাল সকাল জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসেছি। আজকের দিনে আমরা বিজয় পেয়েছি। আমরা যুদ্ধ দেখিনি। কিন্তু জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসে যুদ্ধে জয়লাভের আনন্দ পাই। এজন্য প্রতিবারই আসি। এছাড়া আমার সন্তানকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পর্কে জানাতে আমি পরিবারসহ জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসেছি।

গাজীপুর থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসেছেন আহসান হাবীব। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি চাকরি করি। পরিবারকে খুব বেশি সময় দিতে পারি না। তাই বিজয় দিবসের ছুটিতে পরিবার নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসেছি। পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকেও অনেক মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন। আমরা এসে সর্বপ্রথম শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। পরে ঘুরে ঘুরে বিজয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করছি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ মণ্ডল শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা একসঙ্গে অনেকে যুদ্ধ করেছি। এদের মধ্যে অনেকেই এখানে শুয়ে আছেন। তাদের প্রতি যে শ্রদ্ধা মানুষ দেখাচ্ছে গর্বে বুকটা ভরে যাচ্ছে। এভাবেই শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা সমুন্নত থাকুক। ইতিহাস বিকৃত করা কোনোভাবেই একটা জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না। শেকড়কে ভুলে গেলে কখনও মঙ্গল হয় না। এভাবেই আমার শহীদ ভাইরা মানুষের মনে শ্রদ্ধার জায়গা দখল করে রাখবে দিনের পর দিন।

এ ব্যাপারে গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও জাতীয় স্মৃতিসৌধের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বিজয়ের প্রথম প্রহরে জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা। এরপর সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটক। এর পরেই নামে গণমানুষের ঢল। বিকেল ৪টা পর্যন্ত জাতীয় স্মৃতিসৌধে লাখো মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। এদের মধ্যে শ্রদ্ধা জানানো শেষ হলে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৪
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।