ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

পৌষের শেষ ভাগে চুয়াডাঙ্গায় শীতের দাপট

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২৫
পৌষের শেষ ভাগে চুয়াডাঙ্গায় শীতের দাপট চুয়াডাঙ্গায় শীতের দাপট

চুয়াডাঙ্গা: পৌষের শেষ ভাগে শীতের দাপটে অস্থির চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। নেই সূর্যের দেখা।

বিপর্যস্ত প্রাণীকুল। চারপাশ ঢাকা পড়ছে ঘন কুয়াশায়। সন্ধ্যা রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির পানির মতো ঝরছে শিশির। শীতের তীব্রতায় মানুষের কাজের গতিও কমে গেছে।

রোববার (৫ জানুয়ারি) এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সূর্যের দেখা না পাওয়া এবং কনকনে ঠান্ডা বাতাসে শীতের অনুভূতি বেড়েছে কয়েকগুণ।

এমন পরিস্থিতিতে সব থেকে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। তাদের অনেকের পর্যাপ্ত গরম কাপড় নেই। ঠান্ডা থেকে বাঁচতে খরকুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা। কর্মজীবী মানুষের কাজের প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছেন ঠিকই কিন্তু তাতেও ব্যাঘাত ঘটছে। প্রচণ্ড শীতে খুব প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘর থেকে বের হচ্ছে না।

উজিরপুর গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক আব্দুস শুকুর বলেন, আজ দুদিন ধরে কাজ পাচ্ছি না। প্রতিদিনই কাজের সন্ধানে বাইরে আসছি কিন্তু কাজ না পেয়ে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি। যেভাবে বাতাস বইছে তাতে কাজ করাও কঠিন। আবার কাজ না করলেও পেট চালানো দায়।

আলুকদিয়া গ্রামের ভ্যানচালক মোমরেজ আলী বলেন, এই শীতের একদিন ইচ্ছা করেই কাজে বের হয়নি। অন্যদিন বের হলেও ভাড়া হচ্ছে না। রাস্তাঘাটে তেমন যাত্রী নেই। সকাল আর সন্ধ্যায় তো লোকজন একদমই কম। সূর্য উঠলে কিছু মানুষ বাইরে বের হয়, আর সূর্য না উঠলে তেমন কেউ বের হয় না। অলস সময় কাটছে সবার।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, শৈত্যপ্রবাহ কেটেছে। তামপাত্রাও খানিকটা বেড়েছে। কিন্তু বাতাসের গতিবেগ আর সূর্যের উত্তাপ না থাকায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। এরই মধ্যে তাপমাত্রার কিছুটা উন্নতি হতে পারে। এরপর ১০ জানুয়ারি থেকে আবারও শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২৫

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।