ঢাকা: শিল্পখাতের সক্ষমতা বাড়াতে প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য দক্ষিণ কোরিয়াকে আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। একইসঙ্গে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, তৈরি পোশাক, জাহাজ নির্মাণ, এপিআই, অটোমোবাইল, ইলেকট্রনিক্স, সেমিকন্ডাক্টর, তথ্যপ্রযুক্তি প্রভৃতি খাতে আরও বেশি হারে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আহ্বান জানানো হয়৷
ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৯০২ দশমিক ৯০ মিলিয়ন ও ৪৯১ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থান তৃতীয়, ইতোমধ্যে দেশটি বাংলাদেশে ১ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, তৈরি পোশাক, জাহাজ নির্মাণ, এপিআই, অটোমোবাইল, ইলেকট্রনিক্স, সেমিকন্ডাক্টর, তথ্যপ্রযুক্তি প্রভৃতি খাতে আরও বেশি হারে বিনিয়োগের আহ্বান জানান ডিসিসিআই সভাপতি।
বাংলাদেশ হতে আরও বেশি হারে দক্ষ মানবসম্পদ নেওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, আমাদের শিক্ষিত তরুণ ফ্রিল্যান্সাররা সম্প্রতি সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে ডিজাইন তৈরিতে বেশ ভালো করছে, এখাতের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়া সার্বিক সহযোগিতাও কামনা করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে ভিসা প্রদান ও নবায়ন প্রক্রিয়া সহজীকরণ, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়া দ্রুতকরণ, বিডা প্রদত্ত সেবা প্রদান প্রক্রিয়া বেগবান করা, কর্পোরেট কর হার সহনীয় পর্যায়ে রাখা এবং লজিস্টিক খরচ হ্রাস করা অতীব জরুরি।
তিনি বলেন, বিপুল মানবসম্পদ, ভৌগোলিক অবস্থান, বৃহৎ ভোক্তা বাজার প্রভৃতির ফলে বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। এছাড়াও ইলেকট্রনিক্স পণ্য, মোবাইল, অটোমোবাইল, তথ্যপ্রযুক্তি প্রভৃতি খাতে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত জানান, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা কেন্দ্রসমূহের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদানসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রদানের মাধ্যমে কোরিয়া সহযোগিতা প্রদান করে আসছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশেষ করে শিল্পখাতের সক্ষমতা বাড়ানো ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য অধিক হারে জোরারোপ করা প্রয়োজন এবং এলক্ষ্যে দুদেশের যৌথ বিনিয়োগ স্থানীয় উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী বাংলাদেশে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও যৌথ বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
এ সময় ঢাকা চেম্বারের সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মানসহ দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৫
জিসিজি/এএটি