ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বগুড়ায় প্রশাসনের সহযোগিতায় গাড়ি চলাচলের সিদ্ধান্ত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৫
বগুড়ায় প্রশাসনের সহযোগিতায় গাড়ি চলাচলের সিদ্ধান্ত ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বগুড়া: বিএনপি’র ডাকা সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের চতুর্থ দিনে বগুড়ায় গাড়ি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিক সমিতি। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় শুক্রবার (০৯ জানুয়ারি) বাদ জুমা সড়কে গাড়ি নামানোর কথা।

যদিও মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন এ বিষয়ে উৎসাহ দেখায়নি।  

শুক্রবার (০৯ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের সভাপতি আকতারুজ্জামান ডিউক বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রহরায় মহাসড়কে গাড়ি চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) প্রত্যয় হাসান বাংলানিউজকে জানান, জেলা প্রশাসক মো. শফিকুর রেজা বিশ্বাসের সভাপতিত্বে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বগুড়া সার্কিট হাউসে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বগুড়ার পুলিশ স‍ুপার মো. মোজাম্মেল হক পিপিএম, হাইওয়ে পুলিশ সুপার ইসমাইল হাওলাদার এবং মোটর মালিক গ্রুপের নেতারা ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা ও র‌্যাব কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসসহ সংশ্লিষ্ট যানবাহন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়।

জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) গাজিউর রহমান জানান, জনস্বার্থে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবেন পুলিশ তা মানতে বাধ্য। বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপ সড়কে যানবাহন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বৃহত্তর জনস্বার্থে নাশকতা ঠেকাতে পুলিশ পাহারা দিয়ে প্রত্যক্ষভাবে গাড়ি চলাচলে সহযোগিতা করবে।

এদিকে, বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল লতিফ মন্ডল ও সিনিয়র সহ-সভাপতি কামরুল মোর্শেদ আপেল বাংলানিউজকে জানান, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হরতাল-অবরোধে সারাদেশে ৫৫ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আজ পর্যন্ত এ বিষয়ে উপযুক্ত কোনো বিচার পাওয়া যায়নি। মালিক সমিতি সিদ্ধান্ত নিলে কিছুই করার নেই। যেসব শ্রমিক গাড়ি চালাতে ইচ্ছে প্রকাশ করবেন, তারা চালাবেন। তবে কাউকে বাধ্য করা যাবেনা।

অপরদিকে, বিকেল ৫টা পর্যন্ত পুলিশি প্রহরায় পণ্যবাহী কিছু ট্রাক চলাচল করতে দেখা গেলেও যাত্রীবাহী বাস দেখা যায়নি। তবে শাহ ফতেহ আলী, একতা পরিবহন ও টিআর ট্রাভেলসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বগুড়া-ঢাকা রুটে কিছু নাইটকোচ ছাড়বে বলে টার্মিনাল কাউন্টার থেকে জানানো হয়েছে।    

বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা,  জানুয়ারি ০৯, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।