ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

হাইকোর্টে আরও দু’টি বোমাসদৃশ বস্তু, চরম আতঙ্ক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৫
হাইকোর্টে আরও দু’টি বোমাসদৃশ বস্তু, চরম আতঙ্ক ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: হাইকোর্টের ১৭ নম্বর আদালতের এজলাসকক্ষের ভেতরে বইয়ের মধ্যে পাওয়া গেছে আরও দু’টি বোমা সদৃশ বস্তু।

রোববার (১১ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে এ দু’টি বোমা সদৃশ বস্তু পড়ে থাকতে দেখা গেছে।



এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে ৯নং আদালতের ভেতরে বইয়ের মধ্যে পাওয়া যায় একটি বোমা সদৃশ বস্তু। সেটি দুপুর ৩টা বিশ মিনিটের দিকে সরিয়ে নিয়ে গেছে বোম ডিসপোজাল ইউনিট।  

একই দিনে তিনটি বোমা সদৃশ বস্তু দেখা যাওয়ায় হাইকোর্ট জুড়ে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

অ্যানেক্স ভবনের ১৭ নম্বর আদালতে বিচারপতি নিজামুল হক ও বিচারপতি নূরুল হুদা জায়গিরদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিচার কাজ পরিচালনা করেন। এ আদালতের এজলাসকক্ষে বোমা সদৃশ বস্তু দু’টি দেখার পর পুলিশ ও বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে।

এর আগে অ্যানেক্স ভবনের ৯নং আদালতে বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি মো. হাবিবুল গনির বেঞ্চের এজলাসকক্ষেও একই ধরনের বোমা সদৃশ একটি বস্তু পাওয়া যায়।

তিনটি বস্তুই বই কেটে ভেতরে বসানো ছিল। উভয় ক্ষেত্রেই গাজী শামছুর রহমানের মাইনর অ্যাক্ট বইয়ের মধ্যে বোমা সদৃশ বস্তু রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ৯নং আদালতে পাওয়া বইয়ের মধ্যে একটি এবং ১৭নং আদালতে পাওয়া একটি বইয়ের মধ্যে দু’টি বস্তু রাখা হয়। বই দু’টি খুলে তার মাঝখানে পাতা কেটে লাল টেপে মোড়ানো বোমা সদৃশ বস্তুটি রাখা হয়। এমনকি উভয় ক্ষেত্রে ফাঁকা এজলাস কক্ষের পেছনের বেঞ্চে বই রাখা ছিল।

বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ১৭নং আদালতে পাওয়া দু’টি এবং দুপুর ৩টা বিশ মিনিটের দিকে ৯নং আদালতে পাওয়া একটি বস্তু বোম উদ্ধার করে নিয়ে যান ডিসপোজাল ইউনিটের দল।

ইউনিট ইনচার্জ সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার রহমতউল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে দলটি আদালতের এজলাসকক্ষ থেকে সতর্কতার সঙ্গে এগুলো অপসারণ করে নিয়ে যান।

রহমতউল্লাহ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, এগুলো বোমা সদৃশ বস্তু বলেই মনে হচ্ছে। পরীক্ষা করে বোঝা যাবে, আসলেই এটি বোমা না কি, কেউ আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য রেখে গেছে।

৯নং আদালতের বেঞ্চ অফিসার আবদুল হাসিব বাংলানিউজকে জানান, বেঞ্চের বিচারপতিরা মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার পর ফাঁকা এজলাস কক্ষের পেছনের বেঞ্চে বইটি দেখা যায়। বইটি খুলে সেখানে তার মাঝখানে পাতা কেটে লাল টেপে মোড়ানো বোমা সদৃশ বস্তুটি দেখা যায়।

দ্রুত এজলাসকক্ষ থেকে সবাই সরে যান। কক্ষটি বন্ধ রাখা হয়। এরপরই পুলিশ ও বোমা অপসারণ দলকে খবর দেওয়া হয়।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার এস এম কুদ্দুস জামান জানান, বস্তুগুলো ককটেলের মতোই দেখতে। বোমা অপসারণ দলকে খবর দেওয়ার পর তারা এসে সেগুলো উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৫/ আপডেটেড: ১৭৪১ ঘণ্টা

** বোমাসদৃশ বস্তুটি সরানো হয়েছে
** হাইকোর্টের ভেতরে বোমাসদৃশ বস্তু, আতঙ্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।