ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

‘বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা’-দের সম্মাননা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৫
‘বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা’-দের সম্মাননা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উপাধি দিয়েছলেন ‘বীরাঙ্গনা’। স্বাধীনতার ৪৩ বছরে এসে বীরাঙ্গনার সঙ্গে যুক্ত হলো ‘মুক্তিযোদ্ধা’।



নিজেদের সর্বস্ব বিলিয়ে দেওয়া বীরাঙ্গনাদের চেয়ে ‘বড়’ ও ‘স্মরণীয়’ মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশে আর নেই। সেই ‘বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা’-দের কৃতিত্ব বর্ণনার সময় চোখ ছলছল করছিল সবার। চোখের জল ঝরিয়েছেন অনেকেই।

দৈনিক কালের কণ্ঠের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে শনিবার ১৬ জন বীরাঙ্গনাকে সম্মাননার পাশাপাশি অতিথি, পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং বিশিষ্টজনদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছে কালের কণ্ঠ পরিবার।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য শনিবার বিকেলে বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননার আয়োজন করা হয়।
 
সম্মাননাপ্রাপ্ত বীরাঙ্গনারা হলেন- কিশোরগঞ্জের রাসমণি চক্রবর্তী, বরিশালের নূরজাহান বেগম, গাজীপুরের মোমতাজ বেগম, কুষ্টিয়ার দুলজান নেছা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জোহরা বেগম, মাগুরার লাইলি বেগম, সিরাজগঞ্জের রাহেলা বেগম, রাজবাড়ীর নুরজাহান বেগম, সুনামগঞ্জের দীপ্তি রানী দে, ভোলার মালেকা বেগম, কুড়িগ্রামের খুকি বেগম, পিরোজপুরের লক্ষ্মী রানী রায়, সিলেটের এসনু বেগম, খাগড়াছড়ির চাইন্দাউ মারমা, গোপালগঞ্জের রওশন আরা ও গাইবান্ধার
রাজকুমারী ফুলমতি রানী রবিদাস।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী এদের মধ্যে ১১ জনকে সম্মাননা ক্রেস্ট, নগদ এক লাখ করে টাকা প্রদান এবং উত্তরীয় পরিয়ে দেন।

বাকি দু’জনের স্বজনকে একই অর্থ, ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। আর রাজকুমারী ফুলমতি রানী রবিদাস, এসনু বেগম ও চাইন্দাউ মারমার পক্ষে কেউ উপস্থিত না থাকায় বাড়িতে গিয়ে সম্মাননা, ক্রেস্ট ও অর্থ প্রদান করা হবে বলে জানান দৈনিক কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন।

অনেকদিন ধরেই বীরাঙ্গনাদের মর্যাদা দিতে না পারার দায় স্বীকার করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, এই আয়োজন সেই ভুল ধরিয়ে দিলো।

অনেক দেরিতে হলেও বীরাঙ্গনাদের আড়ম্বরপূর্ণ সম্মাননা জানানোর প্রতিক্রিয়ায় ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী বলেন, এর মধ্য দিয়ে বীরাঙ্গনাদের স্বীকৃতি মিলেছে, যা স্বাধীনতার বিজয়কে আরো দীর্ঘ করবে।

যুদ্ধাপরাধের বিচার দ্রুত শেষ করে বিচারের রায় দ্রুত করারও দাবি জানান তিনি।

ইমদাদুল হক মিলন বলেন, বাংলাদেশে বীরাঙ্গনাদের মতো বড় এবং স্মরণীয় মুক্তিযোদ্ধা আর কেউ নেই। দৈনিক কালের কণ্ঠ প্রকাশনার শুরু থেকে নারী মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ জননীদের সম্মাননা জানিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধাদের এই সম্মাননা।

অনুষ্ঠানে কালের কণ্ঠের সাংবাদিক প্রয়াত আপন মাহমুদের বাবার হাতেও পাঁচ লাখ টাকা তুলে দেওয়া হয়।

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ ছাড়াও কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও ডেইলি সানের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী, কালের কণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক অমিত হাবিব পত্রিকাটির সাংবাদিক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।  

এছাড়া বসুন্ধরা গ্রুপের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে দুপুর ১২টা থেকে আমন্ত্রিত অতিথি, পাঠক এবং বিশিষ্টজনেরা কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানাতে আসা শুরু করেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত এইচএম এরশাদ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, এলজিডি প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক শুভেচ্ছা জানান কালের কণ্ঠ পরিবারকে।  

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল, প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী, উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন, সহকারী প্রেসসচিব নূরে এলাহী মিনা শুভেচ্ছা জানাতে আসেন।

রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা রুহুল আলম চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না কালের কণ্ঠ সম্পাদককে শুভেচ্ছা জানান।

দৈনিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারোয়ার, ডেইলি সানের সম্পাদক আমির হোসেন, বাসসের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, চ্যানেল আইয়ের ফরিদুর রেজা সাগর শুভেচ্ছা জানান।

বাংলানিউজের পক্ষে হেড অব নিউজ মাহমুদ মেনন খান, চিফ অব করেসপন্ডেন্ট সাজেদা সুইটি, ইংরেজি বিভাগের এম. মাহবুব আলমসহ অন্যান্য

সাংবাদিকেরা ফুল তুলে দেন দৈনিক কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলনের হাতে।

রাজউক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন শুভেচ্ছা জানান কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে।

এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ইব্রাহীম ফাতেমী, এসবি’র প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী, ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

মোবাইল অপারেটর সিটিসেলের পক্ষে হেড অব কর্পোরেট কমিউনিকেশন অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস তাসলিম আহমেদ ও কর্পোরেট কমিউনিকেশন অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস ম্যানেজার তনিয়া মাহবুব শুভেচ্ছা জানান।

ইবাইস ইউনিভার্সিটি, ইউনাইটেড হাসপাতাল, ঢাকা সংবাদপত্র হকার্স বহুমুখী সমবায় সমিতি, সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান-সংস্থার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

চটপটির টেবিলে সবাই ‘এক’

** চটপটির টেবিলে সবাই ‘এক’
** রাজশাহীতে কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
** কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এরশাদ-তোফায়েল-রব
** কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সিলেটে র্যালি

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।