ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলানিউজকে স্থানীয় সংসদ সদস্য

‘অবরোধ ভোগান্তি থাকলেও মুসল্লিরা ইজতেমায় আসছে’

শেখ জাহাঙ্গীর আলম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৫
‘অবরোধ ভোগান্তি থাকলেও মুসল্লিরা ইজতেমায় আসছে’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বিশ্ব ইজতেমা ময়দান থেকে: ‘সারা দেশে বিএনপিসহ ২০দলীয় জোটের ডাকা টানা অবরোধ কর্মসূচির কারণে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমায় আসতে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। তবে অবরোধ ভোগান্তি থাকলেও মুসল্লিরা দলে দলে ইজতেমায় এসেছে এবং আসছে।

 
শনিবার (১০ জানুয়ারি) রাতে ইজতেমাস্থলের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কন্ট্রোল রুম পরিদর্শনকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য (গাজীপুর-২ আসন) জাহিদ আহসান রাসেল বাংলানিউজকে এ কথা জানান।
 
একান্ত আলাপকালে তিনি আরও বলেন, অবরোধ ভোগান্তি থাকলেও মুসল্লিদের অংশগ্রহণ এবার বেড়েছে। তবে এই অবরোধ আতঙ্কের কারণে অনেক বিদেশি মেহমান ইজতেমায় আসতে পারেনি।
 
জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, বিএনপিসহ ২০দলীয় জোট অবরোধ দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রাস্তা বন্ধ করে রাখে। এতে ধমপ্রাণ মুসল্লিরা বেশ সমস্যায় পড়েন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করেছেন, এ ক্ষেত্রে অবরোধ টিকেনি।
 
অনেক জায়গায় বিএনপির নেতারাকর্মীরা ইজতেমার উদ্দেশে আসা মুসল্লিদের যানবাহন থেকে নামিয়ে তা ভাঙচুর করেছে বলেও অভিযোগ করেন এই সংসদ সদস্য।
 
এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষের মনে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে তারা। কিন্তু পারেনি। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা শেষ পর্যন্ত অনেক কষ্ট করে হলেও বিশ্ব ইজতেমায় এসেছে এবং আসছে- বলেন তিনি।  
 
জাহিদ আহসান রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এখানে মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত আছে। ইজতেমাস্থলে যাতে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য আমরা যথেষ্ট তৎপর।       
 
তিনি বলেন, ইজতেমা মাঠে পাঁচস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইজতেমায় বিদেশি ও সাধারণ মুসল্লিদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ, আনসার ও র‌্যাব সদস্যসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করছে।
 
তিনি বলেন, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে আমি নিজে ২০দলীয় জোটের কাছে অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য একান্ত আহ্বান জানিয়েছি, কিন্তু তারা আমার কথাও রাখেনি।
 
ইজতেমায় গত বছরের তুলনায় এ বছর মুসল্লিদের অংশগ্রহণ কম কি-না? এ প্রশ্নের জবাবে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ইজতেমায় মুসল্লিদের অংশগ্রহণ কমেনি। আমার কাছে মনে হচ্ছে, প্রতিবারের মতো এবারও মুসল্লিদের অংশগ্রহণ একই রকম।     
 
সরেজমিনে ঘুরে ও ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, মূলত ২০দলীয় জোটের এই অবরোধ কর্মসূচির কারেণই মুসল্লিদের আসতে অনেক কষ্ট পোহাতে হয়েছে।
 
এ প্রসঙ্গে ভৈরব থেকে বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লি মো. সুজন বাংলানিউজকে বলেন, অবরোধ থাকায় বাসা থেকে ইজতেমার উদ্দেশে রওয়ানা দেওয়ার সময় মা না করেছিলেন। তাই বাসে না এসে ট্রেনে করেই ইজতেমার উদ্দেশে রওয়ানা হই। নিরাপদে এসেছি। এখন ইজতেমা শেষে আবার নিরাপদে বাড়ি পৌঁছাতে পারলেই শান্তি।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৫ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।