ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

তামাকজনিত কারণে প্রতি ঘণ্টায় ২৮ জনের মৃত্যু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৫
তামাকজনিত কারণে প্রতি ঘণ্টায় ২৮ জনের মৃত্যু

ঢাকা: দেশে শুধুমাত্র তামাক জনিত কারণেই প্রতি ঘন্টায় ২৮ জনের মৃত্যু ঘটছে বলে জানিয়েছেন মানস’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. অরুপ রতন চৌধুরী।
 
সোমবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘মানস’ আয়োজিত ‘বাংলাদেশে মাদকাসক্তি প্রতিরোধে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন জরুরী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।



আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও বিশেষ অতিথি হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খাইরুল হক বক্তব্য রাখেন।
 
বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের পরিস্থিতি তুলে ধরে ডা. অরুপ রতন চৌধুরী বলেন, বছরে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ তামাকের কারণে প্রাণ হারান। একই কারণে চারলাখ মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেন। বর্তমানে প্রতিবছর তামাকজনিত মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ। প্রতিদিন মৃত্যু ঘটছে ৬শ’ ৮০ জনের। সে হিসেবে প্রতি ঘণ্টায় ২৮ জন এবং প্রতি দুই মিনিটে একজন।
 
২০০৯ সালের এক পরিসংখ্যানের চিত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে চার কোটি ১৩ লাখ তামাক সেবনকারী রয়েছে। আর এ তামাক সেবনকারীদের সহচর্যে চার কোটি ২০ লাখ অধূমপায়ী মানুষ এর ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। যা মোট মৃত্যুর ১০ শতাংশ। অর্থাৎ বছরে ২৫ হাজার অধূমপায়ীর মৃত্যু হয় তামাকজনিত রোগে।
 
বিশ্বে তামাকজনিত মৃত্যুর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্বে প্রতি ১০ জনে একজন মানুষের মৃত্যুর জন্য সরাসরি দায়ী তামাক।
 
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে বলা হয়, বিশ্বে পূর্ণবয়স্ক জনগোষ্ঠীর তিন ভাগের একভাগ অর্থাৎ ১১১ কোটি মানুষ ধূমপায়ী। এরমধ্যে ২০ কোটি নারী। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২০ সালের পর প্রতি বছর বিশ্বে এক কোটি মানুষ তামাকের কারণে মারা যাবেন। এরমধ্যে ৭০ লাখ মারা যাবেন উন্নয়নশীল দেশে।
 
অরুপ রতন তার বক্তব্যে তামাক নিয়ন্ত্রণে বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরেন।

সুপারিশমালার মধ্য রয়েছে, দ্রুততম সময়ে ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ট্যোবাকো কন্ট্রোলের (এফসিটিসি) পূর্ণ বাস্তবায়ন, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি ও তামাক নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালী রাজনৈতিক অঙ্গীকার।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।