ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দালালদের হামলায় বাংলানিউজের সাংবাদিক আহত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৫
দালালদের হামলায় বাংলানিউজের সাংবাদিক আহত মাসুক হৃদয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পূর্ব মেড্ডা এলাকার আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দালালদের হামলায় বাংলানিউজের জেলা প্রতিনিধি মাসুক হৃদয়সহ তিন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বড় ভাই চিহ্নিত পাসপোর্ট দালাল নাছির মিয়ার নেতৃত্বে অন্য দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর হামলা করে।

আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

এসময় তারা পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে মাসুক হৃদয়ের ক্যামেরা ও ল্যাপটপ ছিনিয়ে নেয়।   

এ হামলায় আহত অন্যরা হলেন- ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি জাবেদ রহিম বিজন ও স্থানীয় দৈনিক সরোদের নিজস্ব প্রতিবেদক শফিকুল আলম স্বপন।

আহত সাংবাদিক শফিকুল আলম স্বপন বাংলানিউজকে জানান, গত দু-সপ্তাহ ধরে ওই কার্যালয়ে পাসপোর্টের কার্যক্রম অচল হয়ে আছে। এমন খবরে তিনিসহ অন্য তিনজন সাংবাদিক সেখানে যান।

কার্যালয়ের দেওয়ালে কর্তৃপক্ষের সাটানো নোটিশ থেকে তারা জানতে পারেন, ৩০ ডিসেম্বর বিকেলে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের ফলে এমআরপি (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) সার্ভার স্টেশন নষ্ট হয়ে আছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীদের বক্তব্য রেকর্ড করছিলেন তারা।

এ সময় ওই কার্যালয়ের চিহ্নিত দালাল মেড্ডা এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে নাসির মিয়া (৩৩) তার দলবল নিয়ে বাংলানিউজের প্রতিনিধি মাসুক হৃদয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। নাছির তার হাতে থাকা পিস্তলের বাট দিয়ে মাসুক হৃদয়ের মাথায় আঘাত করে ও কিল-ঘুষি-লাথি মারে।

নাছির নিজেকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম বিল্লাহর বড় ভাই পরিচয় দিয়ে হৃদয়ের বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করার হুমকি দেয়। এর পরপরই সে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

নাছিরের এক সহযোগী হৃদয়ের কাঁধের ব্যাগে থাকা ক্যানন ৬০ডি মডেলের ডিএসএলআর ক্যামেরা, ডেল ইন্সপায়রন এন-৪০১০ মডেলের ল্যাপটপ ও হাতে থাকা প্যানাসোনিক মুভি ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পরে ওই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকের কক্ষে গিয়ে রক্ষা পান তিনি। এসময় পাসপোর্ট কার্যালয়ের প্রধান ফটকের ভেতরে ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়।

এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ও সাংবাদিকরা সেখানে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় মাসুক হৃদয় বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আল-আমিন সরকার বাংলানিউজকে বলেন, হামলার শিকার ওই সাংবাদিক দৌঁড়ে আমার কার্যালয়ে এসে আশ্রয় নেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তাপস রঞ্জন ঘোষ বাংলানিউজকে জানান, ঘটনাটি শুনেছি। দোষীদের ধরতে অভিযান চালানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।