ঢাকা: ‘ এনএসআই তার হারানো গৌরব ও জনগণের আস্থা ফিরে পেয়েছে। ’ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনএসআই (জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর)এর বহুতল প্রধান কার্যালয় ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা বিভিন্ন সময়ে এই সংস্থাটিকে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা স্থায়ী করার হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করেছে। ফলে, এই সংস্থার সুনাম ও মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়। এনএসআই’র পেশাদারিত্ব দারুণ হুমকির মুখে পড়ে। প্রতিষ্ঠানটি জনগণের আস্থা হারায়।
২০ তলা ভবনটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিকী, এনএসআই মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শামসুল হক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এনএসআই সদস্য আব্দুস সাত্তার স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২১ বছরের স্বৈরশাসন শেষে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর আমরা এনএসআইকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ একটি পেশাদার প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার উদ্যোগ নেই। এনএসআই ফিরে পায় তার হারানো গৌরব ও জনগণের আস্থা। ’
এনএসআইকে শক্তিশালী করতে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা এ সংস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে এবং এর গুণগত মান বাড়াতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করি। অবকাঠামো উন্নয়ন, যন্ত্রপাতি ও যানবাহন ক্রয়, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিই। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে আমাদের নেওয়া কর্মসূচিগুলো বন্ধ করে দেয়। ’
এনএসআইয়ের উন্নয়নে তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এনএসআই’র সামর্থ্য বৃদ্ধি ও আধুনিকায়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করি। গত ছয় বছরে আমরা এনএসআইয়ের কাজের পরিধি ও ব্যাপ্তি বিবেচনায় এনে অনেক নতুন পদ সৃষ্টি করেছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘন্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৫