ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাবু রাজশাহী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৫
মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাবু রাজশাহী ছবি : সংগৃহীত

রাজশাহী: রাজশাহীর উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। উত্তরের হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা বাতাসে কাবু হয়ে পড়েছেন পদ্মা পাড়ের মানুষগুলো।

গত দু’দিন ধরে রাজশাহী অঞ্চলে বেড়েছে শীতের তীব্রতা।

সোমবার (১৯ জানুয়ারি) ঘন কুয়াশার চাদর ভেদ করে ভোরের সূর্যের দেখা মিলেছে দুপুরে। তবে সূর্যের সে কিরণ খোলা আকাশের নীচের শীতার্ত মানুষগুলোর শরীরে উষ্ণতা ছড়াতে পারেনি।

মৃদু শৈত্যপ্রবাহে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। আক্রান্ত হচ্ছেন ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত নবজাতকের সংখ্যা। শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন অ্যাজমায় আক্রান্ত রোগীরা।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক আজিজুল হক জানান, শীত বেড়ে যাওয়ায় সব বয়সের মানুষ ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এ সব রোগীর মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশী।

রাজশাহী আবহাওয়া অধিদফতরের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, গত ১৭ জানুয়ারি রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৮ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৩। সোমবার রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ ১৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি।

তিনি জানান, সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে আসায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে হিমালয় ছুঁয়ে আসা ঠাণ্ডা বাতাস ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। চলতি মাসের শেষে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত রাজশাহী অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। বয়ে যেতে পারে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।

তিনি আরও জানান, সোমবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, পাবনা, কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।