সংসদ ভবন থেকে: আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও জননিরাপত্তায় পুলিশ বাহিনীতে আরও ৫০ হাজার সদস্য নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পুলিশের সদস্য সংখ্যা অপর্যাপ্ত বিবেচনায় ইতোমধ্যে ৩২ হাজার ৩১টি পদে নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।
সোমবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে স্বাগত ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী সংঘাতপূর্ণ দেশ সমূহে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সমূহে শান্তি স্থাপনে বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশন সম্পন্ন করেছেন ১৪ হাজার ৩৪৮ জন পুলিশ সদস্য। মিশনে কর্মরত রয়েছেন ১ হাজার ৪৪৩ জন পুলিশ সদস্য। যা পুলিশ প্রেরণকারী দেশসমূহের মধ্যে দ্বিতীয়।
তিনি বলেন, উন্নয়ন বাজেটের আওতায় ২ হাজার ২৭৭ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ১০১টি জরাজীর্ণ থানা ভবন, ৫০টি নতুন থানা ভবন, ৭টি তদন্ত কেন্দ্র, ১০টি ব্যারাক, ৫০টি হাইওয়ে আউট পোস্টসহ পুলিশ ও র্যাবের আধুনিকীকরণে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)কে একটি দক্ষ শক্তিশালী ও আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ৪টি আঞ্চলিক সদর দপ্তর, ৪টি আঞ্চলিক গয়েন্দা ব্যুরো, ৪টি নতুন সেক্টর সদর ও ৯টি নতুন ব্যাটেলিয়ন সৃষ্টি করা হয়েছে। সীমান্ত অপরাধ দমনে ১২ হাজার ৪১২টি নতুন পদ সৃষ্টি, ৫ হাজার ৯৪৩টি পদ বিলুপ্তির মাধ্যমে পূর্ববর্তী ৪২ হাজার ২২৯ জনের জনবল কাঠামো সংশোধন করে ৫০ হাজার ৬৬২ জনের জনবল কাঠামো অনুমোদন করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় বিজিবি সদস্যদের পাশাপাশি স্থানীয় অধিবাসীদের দ্রুত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ৪টি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে।
এর আগে একই ভাষণে রাষ্ট্রপতি বলেন বর্তমানে দেশে নাশকতমূলক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং জনজীবনেও স্বস্তি ফিরেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৫
** নাশকতামূলক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে
** বছরের প্রথম অধিবেশন, চলছে রাষ্ট্রপতির ভাষণ
** গোবিন্দ হালদারসহ ১৪ বিশিষ্ট ব্যক্তির নামে শোক প্রস্তাব
** বছরের প্রথম অধিবেশন চলবে ৫ মার্চ পর্যন্ত
** বছরের প্রথম অধিবেশন বসছে বিকেলে
** পঞ্চম অধিবেশনের পাঁচ প্যানেল সভাপতি