ঢাকা: দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
সোমবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
রওশন এরশাদ বলেন, হরতাল ও অবরোধ রাজনৈতিক দাবি আদায়ের একটি অন্যতম মাধ্যম এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি। কিন্তু বর্তমানে হরতালের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। চোরাগোপ্তা হামলা, প্রেট্রোল বোমা নিক্ষেপ, রেললাইন উৎপাটন, যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সম্পদের সঙ্গে গাড়িচালক, যাত্রীসহ শিশুদের পোড়ানোর মতো বিভীষিকাময় কার্যক্রম চলছে।
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, বিরোধিতার নামে যে নৈরাজ্য ও অরাজকতা শুরু হয়েছে সেই নৈরাজ্যের কবলে পড়েছে এ দেশের খেটে খাওয়া দিন মজুরসহ নারী-পুরুষ, শিশু তথা সাধারণ মানুষ। এই সাধারণ মানুষরা কোনো রাজনীতি করে না অথচ তারাই আজকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আজকে দিনমজুররা অনাহারে দিনাতিপাত করছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পুলিশ সদস্য আক্রমণের শিকার হয়েছে। আজ ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা। এ ধরনের নৈরাজ্য চললে দেশের লাখ লাখ ছাত্র-ছাত্রীদের পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
তিনি আরও বলেন, সম্পদ, যানবাহন জ্বলে পুড়ে ধ্বংস হচ্ছে। বোমা হামলায় ঝলসে যাওয়া মানুষগুলো কাতরাচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। সহিংসতায় ইতোমধ্যে প্রায় পঞ্চাশ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ২০০ জনের মতো রোগী বিভিন্ন হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ধরনের কর্মসূচিতে ব্যবসায়ীদের মাঝে চলছে আহাজারি। অশ্রুজলে সিক্ত হচ্ছে শিল্প মালিকরা। গত ২০০ বছরের ইতিহাসে এদেশে এ ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটেনি।
তাই ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা আরও বলেন, আসুন দলমত নির্বিশেষে জনগণকে সম্পৃক্ত করে এগুলো প্রতিহত করার বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করি।
পেট্রোল বোমার সংস্কৃতি বন্ধ করতে সুশীল সমাজসহ দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান বিরোধীদলীয় নেতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৫