ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বয়স লুকালেই মামলা

ইকরাম-উদ দৌলা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৫
বয়স লুকালেই মামলা

ঢাকা: জাতীয় পরিচয়পত্রে তথ্য গোপন করলে বিশেষ করে বয়স লুকালে আর ছাড় না দেওয়ার কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য গোপনের প্রমাণ পেলেই মামলা ঠুকে দেবে সাংবিধানিক এ সংস্থাটি।


 
সূত্র জানিয়েছে, অনেকেই অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া সত্ত্বেও ভূয়া জন্ম সনদ ব্যবহার করে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আবার অনেকেই চাকরির জন্য বয়স গোপন করেছেন। এক্ষেত্রে বয়স কেউ কমিয়েছেন, আবার কেউ বাড়িয়েছেন। সম্প্রতি শেষ হওয়া ভোটার তালিকা হলানাগাদ কার্যক্রমের তথ্য বিশ্লেষণ করে অনেক নাগরিকের তথ্য গোপনের এসব বিষয় চিহ্নিত করেছে ইসি।
 
এতোদিন তথ্য গোপনকারীর বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা না নিয়ে কেবল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম ভোটার তালিকা থেকে কর্তন করা হতো। কিন্তু দিনদিন এই তথ্য গোপনের প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে ইসি।
 
কেননা, আগামী এপ্রিল-মে, ২০১৫ থেকে স্মার্ট কার্ড সরবরাহ করা হবে। যা রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্র হিসেবে বহুমাত্রিক কাজে ব্যবহার করবে সরকার। এতে সরকারি-বেসরকারি সকল সেবাসমূহ স্মার্ট কার্ডের আওতায় চলে আসবে। তাই এটি দিয়ে কেউ জালিয়াতি বা কোনো অপকর্মের আশ্রয় যাতে না নিতে পারে সেই লক্ষ্যেই মামলার বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে ইসি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) নিবন্ধন অণুবিভাগকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হবে।
 
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বাংলানিউজকে বলেন, তথ্য গোপনের প্রবণতা দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে। তাই জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই তথ্য গোপন বিশেষ করে ভূয়া জন্মতারিখ দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা করা হবে। তবে এখনই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
 
২০০৮ সালের পর থেকে দেশে প্রায় পৌনে দশ কোটি নাগরিক জাতীয় পরিচপত্রের জন্য ইসিতে তথ্য দিয়েছেন। এদের মধ্যে বিভিন্ন সময় প্রায় ৭০ হাজার ভূয়া তথ্য দাতাকে চিহ্নিত করেছে ইসি। এদের আর ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে কারো বিরুদ্ধেই আগে মামলা করেনি ইসি।
 
অনলাইনে ভুল সংশোধন
আগামী ৭ দিনের মধ্যে অনলাইনে ভুল সংশোধনের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি সফটওয়্যার সোমবার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। যে কোনোদিন একটি সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে সেটি উদ্বোধন করা হবে বলেও জানান নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ। এছাড়া অদূর ভবিষতে যে আইটি মেলা হবে সেখানেও একটি স্টল নেবে ইসি। সে সময় অনলাইনে তথ্য সংশোধনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হবে। সেই স্টলেই কিভাবে অনলাইনে ভুল সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে তা শিখিয়েও দেবে ইসি কর্মকর্তারা। অন্যদিকে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমেও প্রচারণা চালাবে ইসি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা,  জানুয়ারি ১৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।