ঢাকা: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের মামলায় চার্জশিটের সুপারিশে অনুমোদন না দিয়ে ফের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান অনিয়মের মাধ্যমে প্লট পাওয়ার অভিযোগ উঠলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ ঘটনার তদন্ত শুরু করে।
দুদকের সদ্য বিদায়ী পরিচালক যতন কুমার রায় তার তদন্ত প্রতিবেদনে মির্জা আব্বাসসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিলের জন্য কমিশনের কাছে আবেদন করেন।
কমিশন তার প্রতিবেদনটি আমলে না নিয়ে ফের তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়। একই সঙ্গে অভিযোগ তদন্তে দুদকের উপপরিচালক হামিদুল হাসানকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় সদ্য অবসরে যাওয়া যতন কুমার রায় বাংলানিউজকে বলেন, তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমি চার্জশিটের অনুমোদন চেয়ে কমিশনে সুপারিশ করেছি। এখন আমি যেহেতু এলপিআরে, তাই কমিশন এ বিষয়টি কী করবে, না করবে তা তাদের সিদ্ধান্ত।
গত নভেম্বরে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড নামের প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের সুপারিশ করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করেছিলেন যতন কুমার রায়।
মির্জা আব্বাসসহ অপর যে চারজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদনে চার্জশিটের সুপারিশ করা হয়েছে, তারা হলেন- সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা আলমগীর কবির, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, সাবেক পরিচালক মেহেদী হাসান এবং সাবেক উপপরিচালক আজহারুল ইসলাম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০০৬ সালে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডকে বাজার মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে প্লট বরাদ্দ দেন। ১৮ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার ৯০০ টাকা মূল্যের সরকারি সাত একর সম্পত্তি তিন কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যে বরাদ্দ দিয়ে সরকারের ১৫ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার ৯০০ টাকা ক্ষতিসাধন আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করে দুদক।
গত বছরের ৬ মার্চ দুদক এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলাও (মামলা নং-১১) দায়ের করেছিল। মামলায় আলমগীর কবির, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সদস্য (ভূমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা) মো. আজহারুল হক, মুনসুর আলম ও মতিয়ার রহমানকে আসামি করা হয়েছিল।
তদন্ত প্রতিবেদন মুনসুর আলমের নাম বাদ দেওয়া হলেও মির্জা আব্বাসের নাম যুক্ত হয়। অবশেষে যতন কুমার রায়ের প্রতিবেদন আমলে না নিয়ে দুদক আরেকজন কর্মকর্তা দিয়ে মামলাটি ফের তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৪