রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরে একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে আম্বিয়া বেগম (৪০) নামে ওই বাসের এক যাত্রী দগ্ধ হয়েছেন।
সোমবার (১৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে মহানগরীর ভদ্রার রেশম ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ আম্বিয়া চাঁপাইনবাগহঞ্জ জেলার মহারাজপুর গ্রামের ইসরাইল হোসেনের স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বাংলানিউজকে জানান, শিশির পরিবহনের একটি দূরপাল্লার বাস চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে পুলিশি নিরাপত্তায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। এটি রাজশাহী স্টপেজে পৌঁছালে সেখানে নিরাপত্তায় তাৎক্ষণিকভাবে হাজির হতে পারেনি পুলিশ। এরপর খানিক সময় অপেক্ষা করে পুলিশি নিরাপত্তা ছাড়াই বাসটি ছেড়ে দেওয়া হয়।
এর মধ্যেই ভদ্রা রেশম ভবনের সামনে আসলে ২-৩ জন যুবক বাসটি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এতে বাসটির সম্মুখেরসহ বিভিন্ন অংশের কাঁচ ভাঙতে শুরু করলে চালক গতি থামিয়ে দেন। তখনই দুর্বৃত্তরা বাসটি লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছোঁড়ে। এসময় ওই বাসের বাম পাশের সিটে বসা আম্বিয়া পেট্রোল বোমাটি হাত দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করেন। এতে তার দুই হাত পুড়ে যায়, ঝলসে যায় মুখমণ্ডলও।
দুর্বৃত্তরা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেলে স্থানীয়রা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তাৎক্ষণিকভাবে ওই নারীকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান, পেট্রোলের আগুনে আম্বিয়ার শরীরের ৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তবে তিনি আশঙ্কামুক্ত।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বাসের যাত্রী রিফাত বাংলানিউজকে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, আগুন দেওয়ার পর হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে আরও অন্তত আট যাত্রী আহত হয়েছেন।
রাজশাহী সদর দমকল বাহিনীর সিনিয়র স্টেশন অফিসার শরিফুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে এগিয়ে আসায় পুরো বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আম্বিয়া চিকিৎসা নিচ্ছেন। অন্যরাও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
খবর পেয়ে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর হোসেন খন্দকারের নেতৃত্বে পুলিশ ও ৠাবের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
ওসি নূর হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৫