কুমিল্লা: কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-১১) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত লক্ষ্মীপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান বাহিনীর প্রধান সোলাইমান উদ্দিন জিসান মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে কুমিল্লা আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে টিক্কাচর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে জিসানের মরদেহের জন্য কবর খোড়া হয়। বিকেলে স্থানীয় পুলিশ জিসানের পরিবারকে জানায়, জিসানের লাশ কুমিল্লায় দাফন করা হবে। এখানে লাশ আসবে না। পরে সন্ধ্যার দিকে কবরটি ভরাট করে ফেলা হয়।
এ ব্যাপারে দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুস সালাম বাংলানিউজকে বলেন, নিহতের পরিবারের কেউ লাশ নিতে আসেনি। তাই ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে তার লাশ দাফন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা দাউদকান্দির পুটিয়া এলাকায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জিসান নিহত হয়।
এসময় তার কাছ থেকে পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিনসহ মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। নিহত জিসান লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামের মৃত আবু বকরের ছেলে। তিনি জেলা ছাত্রদলের সাবেক পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
কুমিল্লা র্যাব-১১ এর অধিনায়ক মেজর সাকিব সিদ্দিকী জানান, ভোরে জিসান মোটরসাইকেলে করে ঢাকা থেকে দাউদকান্দি যাচ্ছিলেন। পথে মহাসড়কের
দাউদকান্দির পুটিয়া এলাকায় র্যাব-১১ এর একটি টহল দল দেখে তিনি গুলি ছোড়েন। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এসময় পাল্টাপাল্টি গুলি বিনিময় হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে জিসান বাহিনীর প্রধান জিসান ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে জিসানের মরদেহ দাউদকান্দি থানায় হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, অপহরণ, ডাকাতিসহ ৪৪টি মামলা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময় : ০৪২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৫