কুমিল্লা: বাসে যখন বেশিরভাগ যাত্রী ঘুমিয়ে ছিলেন তখনই চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো বাসে।
চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আগুনে দগ্ধ বাস যাত্রী আজিজুল হক (২৫) ও জমির উদ্দিন (২৫) এমনটি জানালেন।
দুই হাত পুড়ে যাওয়া মো. আজিজুল হক ও মুখের বিভিন্ন অংশে পুড়ে যাওয়া জমির উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, বাসের প্রায় সব যাত্রীই ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ কয়েকটি বিকট শব্দে ঘুম ভাঙে সবার। চোখ খুলেই দেখেন চারপাশে আগুন জ্বলছে। কেউবা পুড়ে যাচ্ছে। আমরা বাসের জানালা দিয়ে লাফিয়ে বের হই। সে এক বীভৎস দৃশ্য।
মঙ্গলবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর পৌনে ৪টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজারের জগমোহনপুর এলাকায় কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী আইকন পরিবহনের বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ঘটনায় সাত জন ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয় কমপক্ষে ২৬ জন।
নিহতদের মধ্যে পাঁচ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- কক্সবাজার জেলার চকোরিয়া এলাকার কৃষক ইউসুফ (৫৫), যশোর জেলার পিডব্লিউডির ঠিকাদার নুরুজ্জামান পবলু (৫০) ও তার মেয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী মাইশা নাইমা তাসনিন (১৬)। ঢাকার কাপ্তানবাজার এলাকার ওয়াসিম ও নরসিংদি জেলার পলাশ উপজেলার পলাশ গ্রামের মাহমুদুল হোসেন শান্ত (১৬)।
আহতদের মধ্যে ১৫ জন চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, ৯ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এছাড়া, দুই জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৫