ঢাকা, রবিবার, ২৭ পৌষ ১৪৩১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বি. চৌধুরী বললেন

‘চাবি সরকারের কাছে, গেটের তালা খুলবে কী করে!’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫
‘চাবি সরকারের কাছে, গেটের তালা খুলবে কী করে!’ ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে সরকার যে তালা লাগিয়ে দিয়েছে সেটির চাবি না থাকায় প্রধানমন্ত্রীর আগমনেও খোলা যায়নি বলে দাবি করেছেন বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

রোববার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে ছেলের মৃত্যুতে শোকাহত খালেদাকে সমবেদনা জানাতে তার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় যাওয়ার পর বেরোনোর পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি করেন।



বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে নতুন কোনো তালা লাগানো হয়নি, আগে (৩ জানুয়ারি রাতে) যে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, সে চাবি সরকারের কাছে। সেই তালা বিএনপি খুলবে কী করে?

বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা ভেতরে (কার্যালয়ে) দেখলাম, ম্যাডাম ঘুমোচ্ছেন। তার শরীর খারাপ, আমাদের সঙ্গে সরাসরি কোনো কথা হয়নি।

যাত্রাবাড়ীতে বাসে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় খালেদাকে হুকুমের আসামি করে দায়ের করা মামলা প্রসঙ্গে বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন এ মহাসচিব বলেন, কোথায় গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে, আর তিনি (খালেদা) কোথায় ছিলেন? এ মামলা সম্পূর্ণ আশ্চর্যজনক।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে দিন তার (খালেদার) ছেলে মারা গেল, সেদিন সন্ধ্যায়ই তাকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হলো, এটা বিস্ময়কর ব্যাপার।

খালেদার কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পথে বিকল্প ধারা প্রেসিডেন্ট ও তার দলের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান সদ্যপ্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর জন্য খোলা শোক বইতে স্বাক্ষর করেন।

এর আগে, দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হন বিকল্প ধারার এ দুই নেতা।

শনিবার (২৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টায় (মালয়েশিয়া সময় দুপুর ২টা) কুয়ালালামপুরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো।

২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকা সেনানিবাসের মইনুল হোসেন রোডের বাড়ি থেকে খালেদা জিয়া ও তার ছেলে কোকোকে গ্রেফতার করে যৌথ বাহিনী।

এরপর ২০০৮ সালের মে মাসে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান তিনি। তারপর থেকে তিনি বিদেশেই অবস্থান করছিলেন। স্ত্রী ও ২ মেয়ে তার সঙ্গে বিদেশেই অবস্থান করছিলেন।

কোকোর মৃত্যুর খবরে শনিবার (২৪ জানুয়ারি) রাতেই গুলশান কার্যালয়ে ছুটে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু মিনিট পাঁচেক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করলেও ভেতর থেকে গেট না খোলায় ফিরে যান তিনি। এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

** কোকোর শোক বইয়ে সই করলেন মান্না
** খালেদার গুলশান কার্যালয়ে বি.চৌধুরী-মান্নান

** শোক বইয়ে স্বাক্ষর করতে গুলশানে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়
** কোকোর মরদেহ আনতে মালয়েশিয়ায় শামীম ইস্কান্দার
** আরাফাত রহমান কোকো মারা গেছেন
** শোকে বিহ্বল সন্তানহারা খালেদা
** কোকোর মরদেহে প্রবাসীদের শেষ শ্রদ্ধা
** কোকোর মরদেহ আসছে সোমবার
** খালেদার কার্যালয় এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার
** শোকাহত খালেদার পাশে স্বজন-সহকর্মী

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।