জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর সংবাদ শুনে সব কিছু ভুলে খালেদা জিয়াকে সমাবেদনা জানাতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একজন মা হিসেবে পুত্রহারা মাকে সমাবেদনা জানাতে সেখানে যান তিনি।
রোববার (২৫ জানুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কোকোর মৃত্যুসংবাদ শুনে প্রধানমন্ত্রী নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সেখানে যাবেন। তিনি সেখানে গেলেন। আমিসহ বেশকিছু মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরাও ছিলেন সেখানে।
তিনি বলেন, আমরা গিয়ে জানতে পারলাম কিছুক্ষণ আগে দরজায় তালা মেরে দেওয়া হয়েছে। আমি শিমুল বিশ্বাসকে ভেতরে দেখে প্রধানমন্ত্রীর কথা বললাম। তিনি (শিমুল বিশ্বাস) জানালেন ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়ানো হয়েছে। কারও সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। পরে প্রধানমন্ত্রী গাড়িতে উঠে চলে গেলেন। পরে জানতে পারলাম মওদুদসহ বিএনপির বেশকিছু নেতাও সেখানে ছিলেন। কিন্তু তারা আসলেন না।
তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সবকিছু ভুলে গিয়ে মানবতার কারণে সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু দেখা করতে না পেরে আমরা ফিরে আসায় বাঙালি জাতি এটা গ্রহণ করেনি। আজ গণমাধ্যমে সেটা প্রকাশ পেয়েছে।
তিনি বলেন, দেখা না হওয়ায় আমি বিস্মিত হইনি। বিস্মিত হয়েছি পুত্র হারানোর পর অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ এবং হরতাল প্রত্যাহার না করায়।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কোকোর মৃত্যুর পর অনেকে বলেছেন তার ছেলের তো স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু যারা নাশকতার আগুনে মারা যান, তারাও তো কোনো না কোনো মায়ের সন্তান। কত মায়ের বুক খালি হয়েছে, তাদের কী অবস্থা! আমরা শুধু তাদের পাশে গিয়ে সমাবেদনা দেই। আজ নিজের সঙ্গে (খালেদা) অন্য মায়ের ব্যথা বুঝতে পারবেন বলে আমার মনে হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫
** সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবহারে সংসদে বিল উত্থাপন
** ‘অপাত্রে ঘি ঢালা বিপদ’
** প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না করায় জাতি আশাহত
** ‘বুঝতে চেষ্টা করুন ব্যথা কাকে বলে’
** ২০১৯ সালেই মেট্রোরেল দিয়ে চলাচল!
** সওজ’র কোনো রাস্তাই বেহাল দশায় নেই
** শিগগিরই বাস টার্মিনালে ডিজিটাল ব্যানারে ভাড়ার তালিকা
** পদ্মাসেতু নিয়ে কথা কম
** অধিবেশন শুরু, চলছে মন্ত্রীদের প্রশ্নোত্তর
** অসাম্প্রদায়িক চেতনায় এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান