জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে প্রবেশ করে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে না দেওয়ায় সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
গুলশান কার্যালয়ে কোনো জঙ্গি-সন্ত্রাসীকে বা অস্ত্র লুকিয়ে রাখা হয়েছে কি না প্রশ্ন করে তিনি আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে ওই কার্যালয়ে তল্লাশি করার আহ্বান জানান।
রোববার (২৫ জানুয়ারি) রাতে সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এ কথা বলেন শেখ সেলিম।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২২ জনকে হত্যা করা হয়। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত ছিলো। এতো কিছুর পরেও প্রধানমন্ত্রীর সমাবেদনা জানানোর কথা না। কিন্তু শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর কন্যা, তার বড় হৃদয়, তাই খালেদা জিয়াকে সান্ত্বনা দিতে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, যারা বোমাবাজি করে, যারা জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত তারা খালেদা জিয়ার ওখানে ছিলেন। তারপরেও ঝুঁকি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু কি কারণে তাকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ওখানে কি জঙ্গি সন্ত্রাসীরা ছিলো, অস্ত্র ছিলো? প্রধানমন্ত্রী ভেতরে গেলে তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা লোকজন এগুলো দেখে ফেলতে পারেন। সেজন্যই কি প্রধানমন্ত্রীকে যেতে দেওয়া হয়নি?
খালেদার কার্যালয়ে অস্ত্র বা চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা লুকিয়ে আছে কি না- তা খতিয়ে দেখতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ওই কার্যালয়ে তল্লাশি করা উচিত।
শেখ সেলিম আরও বলেন, তারা র্দুব্যবহার করেছে। প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করেছে। কিন্তু সম্মানিত লোককে অপমান করা যায় না।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে বলা হলো। প্রধানমন্ত্রী ফিরে আসার আধা ঘণ্টা পরেই তার ঘুম ভেঙে গেল। প্রধানন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিলেন। সেখানে তো কোনো ডাক্তার যায়নি, কে ইনজেকশন দিলো? সন্তান হারানোর মতো এতো বড় ঘটনার পরেও ৩৬ ঘণ্টার হরতাল বহাল থাকলো ভেবে পাই না!
বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫