ঢাকা, রবিবার, ২৭ পৌষ ১৪৩১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘প্রেস লেখা’ মোটরসাইকেলে চড়ে কক্সবাজারে নাশকতা!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫
‘প্রেস লেখা’ মোটরসাইকেলে চড়ে কক্সবাজারে নাশকতা! ফাইল ফটো

কক্সবাজার: কক্সবাজারে নম্বর বিহীন মোটরসাইকেলে “প্রেস” লিখে নাশকতা চালাচ্ছে জামায়াত-শিবির। এ অভিযোগ করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।



শহরের বিভিন্নস্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মারা ও টায়ারে আগুন দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে প্রেস কিংবা সাংবাদিক লেখা মোটরসাইকেল।

সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারে শহরে সংঘটিত বিভিন্ন নাশকতা সৃষ্টির কাজে ব্যবহার হয়েছে এসব মোটরসাইকেল।

এসব মোটরসাইকেলের কোনোটিতে লেখা রয়েছে ভূঁইফোড় কোনো সংবাদপত্র কিংবা অনলাইন নিউজপোর্টালের নাম। এমনই তথ্য নিশ্চিত করেছে সরকারি একটি গোয়েন্দা সংস্থা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করছে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। সেই সঙ্গে কর্মীদের নামের বেলায় ব্যবহার করছে আলাদা আলাদা কোড নম্বর। কয়েকদিন পরপরই পরিবর্তন করছে আবাসস্থল।

নাশকতার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে নিত্য নতুন মুখ। তারা শহরের নেতাকর্মীদের গ্রামে এবং গ্রামের নেতাকর্মীদের শহরে এনে নাশকতা সৃষ্টি করে সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিভ্রান্ত করার কৌশল নিয়েছে।

২০ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালো রঙের “প্রেস লেখা” একটি মোটরসাইকেলে শহরের শহীদ সরণিতে টায়ার জ্বালিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। এ সময় তারা টায়ার জ্বালানোর ছবিও তুলেছে। ওই ছবিটিই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি হিসেবে তার পরের দিন স্থানী বিভিন্ন পত্রিকায়ও পাঠিয়েছে ছাত্র শিবির।

এর আগে ১৮ জানুয়ারি রাত ১২টার দিকে শহরের বাজারঘাটা এলাকায় টহল পুলিশ একটি নীল রঙের মোটরসাইকেল থামায়। এর নম্বর প্লেটের স্থানে লেখা ছিল সাংবাদিক। এ সময় আরোহীরা নিজেদের একটি অনলাইন নিউজপোর্টালের সাংবাদিক দাবি করে চলে যায়। অল্প কিছুদূর এগিয়ে তারা কয়েকটি টমটম গাড়ি ভাঙচুর করে গোলদিঘীর পাড়ের দিকে পালিয়ে যায়।

কক্সবাজার সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাইয়ূম উদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, শিবিরের মেস থেকে উদ্ধার করা কাগজপত্র থেকে নিজেদের মধ্যে পাসওয়ার্ড বা কোড নম্বর ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ডিবি/ওসি) দেওয়ান আবুল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, শিবির অত্যন্ত চতুর প্রকৃতির একটি দল। তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে বিভ্রান্ত করার জন্য নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করেছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহাম্মেদ বাংলানিউজকে জানান- প্রেস, সাংবাদিক, অনটেস্ট, অর্থাৎ নম্বর বিহীন মোটরসাইকেল ব্যবহার করেই নাশকতা করা হচ্ছে এমন তথ্য ও সত্যতা পাওয়া গেছে। এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।