জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে গুলশান কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রবেশ করতে না দেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেছেন, অপাত্রে ঘি ঢালা বিপদ!
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনের নামে নৃশংসভাবে ৩৩ জন মানুষকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করতে পারে, তাদের কাছে মানবতাবোধ আশা করা যায় না। এ ঘটনায় তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে।
রোববার (২৫ জানুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা যেখানে যান জাতীয় পতাকা নিয়ে যান, জাতীর প্রতিনিধিত্ব করেন। কিন্তু অপাত্রে ঘৃতদান করলে বিপদ আছে। মায়ের মমতা নিয়ে সমবেদনা জানাতে একজন প্রধানমন্ত্রী একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কাছে গেলেন।
তিনি বলেন, যারা আন্দোলনের নামে নৃশংসভাবে ৩৩ জন মানুষকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করতে পারে, তাদের কাছে মানবতাবোধ আশা করা যায় না- তা আবারও প্রমাণ হয়েছে। যিনি মারা গেছেন (কোকো) তিনি দন্ডিত অপরাধী। তার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী কেন, কোন মন্ত্রীরই তো যাওয়ার কথা ছিল না। এরপরও শুধুমাত্র মানবতাবোধ ও মায়ের মমতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী গেলেন, কিন্তু তাকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে দেখা করতে না দিয়ে বলা হলো খালেদা জিয়াকে নাকি ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে!
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় আমাদের শিক্ষা নিতে হবে আর অ-পাত্রে ঘৃত ঢালা যাবে না। আগামী দিনের রাজনৈতিক ইতিহাসে এই ঘটনা কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে। আগুনের সঙ্গে তেলের মিল করা যায় না, তেমনি অপরাধী অপরাধীই।
এ সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে সুরঞ্জিত বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৫২ সালের দিকে যুক্তরাষ্টের প্রেসিডেন্ট তখন আইজেন আওয়ার; তখন অভিযোগ এলো রজেনবার্গ নামে একজন প্রযুক্তিবিদ নিউক্লিয়ার প্রযুক্তি সোভিয়েত ইউনিয়নে পাচার করেছেন। এই অপরাধে তাকে ফাঁসি দেওয়া হলো। আইজেন আওয়ার তখন বলেছিলেন, মানুষ আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। তাদের স্বার্থ রক্ষা করাই আমার কাজ। তাদের প্রতি অনুরাগ বা বিরাগ থাকার কারণ নেই আমার।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫