সিলেট: আধ্যাত্মিক রাজধানীখ্যাত সিলেটকে সম্প্রীতির নগরীও বলা হয়ে থাকে। সেই সম্প্রীতির নগরী হয়ে উঠেছে বিদ্যাদেবীর আরাধনায় মুখর।
জ্ঞানের দিশারী বিদ্যাদেবীকে বরণ করে নিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নির্মিত হয়েছে অস্থায়ী মণ্ডপ। স্থায়ী মণ্ডপ ছাড়াও বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় অস্থায়ীভাবে নির্মিত মণ্ডপগুলোতে সর্বজনীন ও পারিবারিক পূজার আয়োজন করা হয়েছে। মন্দিরগুলো সাজানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন কারুকাজে। দেবী দর্শনে করা হয়েছে বর্ণিল আলোকসজ্জা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রোববারের (২৫ জানুয়ারি) আয়োজনের মধ্যে সকালে পুষ্পাঞ্জল, দুপুরে মহাপ্রসাদ বিতরণ আর সন্ধ্যায় আরতি ও ভক্তিমূলক গানের অনুষ্ঠান হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ।
দেখা গেছে, নগরীর জিন্দাবাজার, দাড়িয়াপাড়া, মির্জাজাঙ্গাল, লামাবাজার, মণিপুরী রাজবাড়ি, জামতলা, নয়াসড়ক, যতরপুর, চালিবন্দর, মাছিমপুর মণিপুরী পাড়া, কুড়িপাড়া, মহাজনপট্টি, কাষ্টঘর, শেখঘাট, মিরাবাজার, গোপালটিলা, খুলিয়াপাড়া, কুমারপাড়া, আম্বরখানার স্থায়ী মন্দিরগুলোতে চলছে বিদ্যাদেবীর আরাধনা। শুধু সিলেট নগরীতেই স্থায়ী-অস্থায়ী তিন শতাধিক মণ্ডপে পালিত হচ্ছে সরস্বতী পূজা।
অবরোধ ও হরতালজনিত নিরাপত্তা বিবেচনায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সঙ্গে মহানগর পূজা কমিটির এক বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার প্রতিমা শোভাযাত্রার গানবাজনায় সাউন্ড সিস্টেম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শোভাযাত্রার মাধ্যমে শেষ হবে সিলেট নগরীর সরস্বতী পূজা।
সিলেট ‘সম্প্রীতির নগরী’ হিসেবে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান উদযাপনে সুদীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫