ঢাকা: নাশকতা বন্ধে আইনি প্রক্রিয়া কঠোরভাবে প্রয়োগ এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সকল প্রয়োজনীয় সহযোগিতা জরুরি ভিত্তিতে প্রদানের দাবি জানিয়েছে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ।
সোমবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টায় পেট্রোল বোমায় পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, রাষ্ট্রীয় এবং জনসাধারণের সম্পদে অগ্নিসংযোগ ও দেশের উন্নয়ন অর্থনীতি ধ্বংসকারী হরতাল অবরোধের প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদের এ সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বিচারপতি এ এফ এম মেসবাহ উদ্দীন। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান।
লিখিত বক্তব্যে তিনটি কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। কর্মসূচির মধ্য রয়েছে মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান, ৩১ জানুয়ারি বেলা ১১টায় শাহবাগ থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত সমাবেশ ও পদযাত্রা এবং ৪ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে পেশাজীবী সমাবেশ। এছাড়া প্রতিটি জেলায় পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কর্মসূচি চলবে।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, গত ২০ দিনে ৩৩ জন নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছেন, দগ্ধ হয়েছেন ২০৮ জন, ৭২০টি যানবাহন পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে, ৫ দফায় রেলে নাশকতা হয়েছে। সহিংসতার মূল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে পেট্রোল বোমা।
লিখিত বক্তব্যে ডা. কামরুল বলেন, এসব সহিংসতায় ইতোমধ্যে ৪০ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। সুতরাং এ অবরোধ-হরতালের লক্ষ্যে কেবল নিরীহ মানুষ পুড়িয়ে হত্যা এবং দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়া ধ্বংস ছাড়া কিছুই না। মানুষকে আতঙ্কের মধ্য ফেলে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির প্রয়াস মাত্র।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মাদ তালুকদার, কৃষিবিদ মোহাম্মাদ মোবারক আলী, অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, প্রকৌশলী এস এম খবীরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু, অধ্যাপক নাজমা শাহীন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫