যশোর: যশোরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মাহাবুর (৩০) নামে এক ডাকাত সদস্য নিহত হয়েছেন। এসময় ডাকাতের হামলায় আহত হয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক।
মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে জেলার মণিরামপুর উপজেলার বেগারিতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রিভলবার, একটি শুটারগান ও আট রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।
আহত আরিফুল হককে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নিহত মাহাবুব মনিরামপুরের শ্যামনগর এলাকার মতলেব আলীর ছেলে।
যশোর জেলা পুলিশের মুখপাত্র সহকারী পুলিশ সুপার রেশমা শারমীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, ডাকাতি রোধে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। ভোরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল হক পুলিশের একটি দল নিয়ে ওই সড়ক পরিদর্শনে যান। সড়কের বেগারিতলা এলাকায় পৌঁছুলে একদল ডাকাত তাদের গাড়ির সামনে গাছ ফেলে বেরিকেড দেয়। পরে ডাকাতরা পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে ডাকাত দল পিছু হটে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে ডাকাত সদস্য মাহাবুরের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় আহত হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল হক।
এএসপি রেশমা শারমীন আরও জানান, পুলিশ এসময় নয় রাউন্ড গুলি চালিয়েছে।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা খবির উদ্দিন জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মাহাবুব মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের সূত্রে কেশবপুর উপজেলার বেলোকাটি গ্রামের আবিদ হোসেনের বাড়িতে বসবাস করতেন।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খবির আহম্মেদ বাংলানিউজকে জানান, নিহত ডাকাত সর্দার মাহাবুর ডাকাতের বিরুদ্ধে যশোর সদর, মণিরামপুর, কেশবপুর, খুলনার পাইকগাছা, সাতক্ষীরার কলারোয়াসহ বিভিন্ন থানায় ১৯টি মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় ডাকাতির প্রস্তুতি, সরকারি কাজে বাধাদান ও হামলা এবং অস্ত্র আইনে পৃথক তিনটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫/আপডেটেড: ১৬৩২