ঢাকা, রবিবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বায়তুল মোকাররমের পথে কোকোর মরদেহ

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫
বায়তুল মোকাররমের পথে কোকোর মরদেহ ছবি: জি এম মুজিবুর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: গুলশান থেকে বায়তুল মোকাররমে নেওয়া হচ্ছে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ। মঙ্গলবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয় থেকে লাশবাহী গাড়িটি জাতীয় মসজিদের উদ্দেশে রওয়ানা হয়।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লাশবাহী গাড়িটি মহাখালী অতিক্রম করছিলো।

এদিকে কোকোর জানাজা উপলক্ষ্যে  ইতোমধ্যেই বায়তুল মোকাররম এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়েছে। লোকের ভিড় মসজিদ ছাপিয়ে পৌঁছেছে সংলগ্ন রাস্তায়। মসজিদের উত্তরদিকে পল্টন থেকে দৈনিক বাংলা মোড় এবং দক্ষিণ দিকে গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগের কার্যালয় পর্যন্ত পৌঁছেছে জনসমাগম। এই রাস্তাগুলো ইতোমধ্যেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।  

এর আগে দুপুরে গুলশান কার্যালয় থেকে  চোখের জলে  ছেলেকে শেষবারের মত বিদায় জানান শোকাহত মা খালেদা জিয়া। এ সময় তার চোখ দিয়ে ঝরে অঝোরধারায় অশ্রু।

বিমানবন্দর থেকে দুপুর দেড়টার দিকে কোকোর মরদেহবাহী গাড়ি গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে পৌঁছায়।   কার্যালয়ের নিচতলার কনফারেন্স রুমে রাখা হয় মরদেহ। এ সময় মা খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

বায়তুল মোকাররমে নামাজে জানাজা শেষে বিকেলে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে কোকোকে।

এদিকে নিরাপত্তার কারণে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের গুলশানে কোকোর মরদেহ দেখতে আসতে নিষেধ করা হলেও সেখানে হাজারো উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায়। ভিড়ের কারণে ঢুকতে না পেরে অনেক সিনিয়র নেতা গুলশানে এসে ফিরে যান।

বেলা পৌনে ১২টার দিকে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে কোকোর মরদেহ হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বেলা সোয়া ১২টার দিকে মরদেহবাহী গাড়ি বিমানবন্দর থেকে রওয়ানা হয়।

পরিবারের পক্ষ থেকে কোকোর মরদেহ বুঝে নেন তার চাচাতো ভাই মাহবুব আল আমিন ডিউ। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন খালেদা জিয়া মনোনীত বিএনপির পাঁচ নেতা স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আবদুল্লা আল নোমান ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী।

এয়ারপোর্টে আরও উপস্থিত হন বিএনপির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক এমএ মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর নাছির উদ্দীন।

কোকোর মরদেহ আসা উপলক্ষ্যে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা যেমন বাড়ানো হয়, তেমনি সীমিত করা হয় যান ও জন চলাচল।

শনিবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫/ আপডেট ১৬২৪ ঘণ্টা

** জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা, বায়তুল মোকারমে কড়া নিরাপত্তা
** মায়ের কাছে কোকোর মরদেহ

** সারাদেশে কোকোর গায়েবানা জানাজা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।