মানিকগঞ্জ: পদ্মা নদীর পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় নাব্যতা সংকট ও সারের বস্তা সরবরাহ অপ্রতুল থাকায় প্রায় ৩০ হাজার টন মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার খালাসের অপেক্ষায় আটকা পড়ে আছে ৩৬ জাহাজ।
পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় নোঙর করে থাকা এসব জাহাজ থেকে সার খালাস করে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি, পাবনার কাজিরহাট ও নগরবাড়িতে পাঠানো হবে।
বুধবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে সরেজমিনে পাটুরিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায় সারিবদ্ধভাবে এসব জাহাজ সার খালাসের অপেক্ষায় ঘাটে নোঙর করে রয়েছে।
পাটুরিয়া ঘাট শাখার সার্ভেয়ার সরোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, চট্টগ্রাম থেকে ৩১টি এবং খুলনার মংলা বন্দর থেকে ৫টি জাহাজ এসে এখানে সার খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। একেকটি জাহাজে কমপক্ষে ৭০০ টন থেকে শুরু করে ১২০০ টন পর্যন্ত সার লোড করা রয়েছে।
তিনি জানান, নদীর পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় নাব্যতা সংকট দেখা দেওয়ায় জাহাজগুলো গন্তব্যস্থলে যেতে পারছে না।
এছাড়া অবরোধ ও হরতালের কারণে পর্যাপ্ত সারের বস্তা সরবরাহ না থাকায় সার খালাস করতেও দেরি হচ্ছে।
ঘাটে অপেক্ষারত এমভি আল ইনসানের জাহাজের মাস্টার আফসার হোসেন জানান, সার খালাসের অপেক্ষায় চলতি মাসের ৬ তারিখ থেকে পাটুরিয়া ঘাটে তারা অপেক্ষা করছেন। কিন্তু কবে জাহাজ থেকে সার খালাস করা হবে এর কোনো নিশ্চয়তা নেই।
তিনি জানান, পদ্মা নদীর এই রুটে জাহাজ চলাচলের জন্য ১১ ফুট নাব্যতা প্রয়োজন হলেও রয়েছে ৭/৮ ফুট।
এ বিষয়ে নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক শাজাহান হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, নদীপথে এখন প্রায় ৯ ফুট নাব্যতা রয়েছে। কিন্তু ওই জাহাজগুলো তাদের ধারণক্ষমতার চাইতে বেশি সার বহন করায় এ সমস্যা হচ্ছে। নাব্যতা স্বাভাবিক রাখতে ইতোমধ্যেই নগরবাড়ির মোল্লার চরে ড্রেজিং চলছে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৫