ঢাকা: আগামী রোববার (০১ ফেব্রুয়ারি) থেকে কার্যকর হচ্ছে ‘নিরাপদ খাদ্য আইন’। এর ফলে অনিরাপদ খাদ্য উৎপাদক ও বিক্রেতার বিরুদ্ধে যে কেউ সরাসরি মামলা দায়ের করতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ জানুয়ারি) তথ্য অধিদফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
নতুন আইন কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘পিওর ফুড অর্ডিন্যান্স’ ১৯৫৯ রহিত হবে। তবে ওই অধ্যাদেশের অধীনে অনিষ্পন্ন কার্যক্রম, দায়েরকৃত মামলা ও তার আপিল আগের অর্ডিন্যান্সের অধীনেই চলবে।
আইনে ২৩ ধরনের অপরাধে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ৪-২০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। আইনটিকে ‘মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯’র তফসিলভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী।
খাদ্যের বিষাক্ত উপাদান (ক্যালসিয়াম কার্বাইড, ফরমালিন, সোডিয়াম সাইক্লাইমেট, ডিডিটি, পিসিবি) ভেজাল খাদ্যোপকরণ উৎপাদন আমদানি ও বিপণন, নিম্নমানের খাদ্য উৎপাদন, অনুমোদনহীন খাদ্য সংযোজন দ্রব্য কীটনাশক ব্যবহার শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।
নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩’র অধীনে নিরাপদ খাদ্য বিধিমালা, ২০১৪ প্রণয়ন করা হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক নীতিমালা-পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ প্রদানের জন্য খাদ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ৩০ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৫