ঢাকা: নিজে না খেয়ে টাকা জমিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর প্রতি শোক প্রকাশ করে ব্যানার তৈরি করেছেন বিএনপি পাগল রিজভী হাওলাদার নামে এক বিএনপি সমর্থক।
বৃহস্পতিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে সামনে রিজভীর সঙ্গে দেখা হয় এ প্রতিবেদকের।
রিজভী বলেন, প্রতিদিন ভোর বেলায় নারায়ণগঞ্জ থেকে গুলশান খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে ব্যানার টাঙিয়ে বসে থাকেন তিনি। সন্ধ্যার পর আবার নারায়ণগঞ্জ চলে যান।
বিএনপি পাগল রিজভী বলেন, বিএনপির মিটিং বা সমাবেশ হলে তাকে কেউ বেঁধেও রাখতে পারে না। মিছিল-মিটিংসহ সব ধরনের কর্মসূচিতে তার সরব উপস্থিতি থাকে।
বিএনপির গুলশান অফিসে হাজির হয়ে আর কাউকে দেখা না গেলেও দেখা মেলে বিএনপির একনিষ্ট সমর্থক এই রিজভী হাওলাদারকে।
কখনো অফিসের গেটের সামনে, কখনো রাস্তার ফুটপাতে বসে সময় কাটে তার।
সাত সকালে বিএনপির অফিসের সামনে টাঙানো নিজ ব্যানারের পাশে দাড়িঁয়ে থাকা রিজভী হাওলাদার বলেন, ‘আমি বিএনপিকে ভালবাসি, জিয়ার আদর্শে বিশ্বাসী, আমি ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) ভালবাসি। ম্যাডামের জন্য আমি আমার জীবন দিতে পারি। নিজের স্ত্রী-সন্তান ত্যাগ করতে পারি’ ‘ম্যাডামের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর থেকে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমি এই অফিসের সামনে থাকি। আমার একটাই চাওয়া আমার দল ক্ষমতায় যাক। ’
না খেয়ে টাকা জমিয়ে দুইটি ব্যানার তৈরি করেছেন। আরো কয়েকটি ব্যানার তৈরি করবেন বলেও জানান তিনি।
রিজভী বলেন, বিএনপির নেতারা কি করে। যা করার কর্মীরাই করে। কর্মীরা দলের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত আছে।
রিজভী হাওলাদারের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ছোট্টকান্দা গ্রামে। তার বাবার নাম আজহার হাওলাদার। নারায়ণগঞ্জের কুতুবপুরে থাকেন তিনি। তার এক ছেলে, এক মেয়ে রয়েছে।
খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের উল্টো পাশে লেডিস পার্কের ওয়ালের সঙ্গে টাঙানো ব্যানারে দেখা যায় এক পাশে সদ্য প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ছবি অন্য পাশে কালো চশমা পরিহিত অবস্থায় রিজভী হাওলাদারের ছবি।
ব্যানারটিতে লেখা রয়েছে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়উর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর অকাল মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত- সৌজন্যে রিজভী হাওলাদার।
সব শেষে রিজভী বলেন, দল থেকে আমার কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। আমি বিএনপিকে ভালোবাসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা জানুয়ারি ২৯, ২০১৫