ঢাকা: হরতালে সহিংসতা বন্ধে জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার আইন করার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি সহকারী জজ আসাদুজ্জামানকে দেখতে এসে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
তাকে দেখতে এসে আইনমন্ত্রী বলেন, জনগণের চাওয়ার প্রতিফলন ঘটাতেই হরতালবিরোধী আইন করা হবে। বর্তমানে জনগণ হরতালে সব রকম সহিংসতা বন্ধে আইনের দাবি জানাচ্ছে। এটা বন্ধে আমরা ইতোমধ্যে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছি।
তিনি আরও বলেন, সহিংসতা বন্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। যে কোনো সহিংসতা বন্ধে অনেকগুলো ধাপ আছে। যার প্রয়োগ করা হচ্ছে।
কয়েকদিন আগে বোমা বানানোর সময় বেশ কিছু যুবককে হাতেনাতে ধরা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশে বিস্ফোরণ আইন, এন্টি টেরোরিজম অ্যাক্ট, স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট রয়েছে। কেউ যদি এসব আইনে অপরাধ করে, কিংবা সংগঠিত অপরাধ যদি একাধিক আইনে পড়ে তাদের বিরুদ্ধে সেভাবেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, দুপুর ১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন শেষে বাংলাদেশ জামিয়াতুল ওলামার চেয়ারম্যান আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসুদের (কিশোরগঞ্জ শোলাকিয়া ইমাম) নেতৃত্বে প্রায় ৫০ জনের একটি প্রতিনিধি দল সহিংসতায় দগ্ধদের দেখতে ঢামেকে আসে।
এ সময় সাংবাদিকদের ফরিদ উদ্দিন মাসুদ জানান, একটা মশাকেও এভাবে পুড়িয়ে মারার বিধান ইসলামে নেয়। রাজনৈতিক কারণে জ্যান্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। রাজনীতিবিদরা জনগণের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করেন। সুতরাং সহিংসতার পথ ছেড়ে মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় তিনি সহিংসতায় দগ্ধ হয়ে যারা মারা গেছেন, তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন। পাশাপাশি যারা দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের দ্রুত আরোগ্যে কামনা করেন। এছাড়া দগ্ধদের আর্থিক সহযোগিতা শেষে বার্ন ইউনিটের সামনে উপস্থিত সকলকে নিয়ে মোনাজাতও করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৫