রাজশাহী: চিকিৎসকের অবহেলায় রাজশাহী মহানগরীর কলাবাগানের পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিকে এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রসবের সময় ওই নবজাতকটির মৃত্যু হয়।
পরে মহানগরীর মাইক্রোপ্যাথে বসে রোগী দেখার সময় চিকিৎসক শারমিন আক্তারের কাছে গিয়ে তার ওপর চড়াও হন নবজাতকের স্বজনেরা। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক ও প্রসূতির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২৮ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর কাজলা এলাকার এরশাদ আলীর স্ত্রী রেহেনা বেগমের প্রসব বেদনা ওঠে। পরে ভোর ৫টার দিকে তাকে মহানগরীর কলাবাগানের পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।
সকাল ১০টার দিকে সেখানে গিয়ে দায়িত্বরত চিকিৎসক শারমিন আক্তার প্রসূতি রেহেনাকে দেখে আসেন। সেই সঙ্গে তার অভিভাবকদের জানান, কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় প্রসূতি তার সন্তান প্রসব করতে পারবেন। এরপরও যদি না হয়, তাহলে দুপুরে গিয়ে ওই প্রসূতির অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করানো হবে বলে জানিয়ে চিকিৎসক শারমিন আক্তার চলে যান।
প্রসূতি রেহেনার ভাই জার্জিস হোসেন জানান, চিকিৎসক শারমিন আক্তার চলে আসার পর তার বোনের অবস্থা আরও বেগতিক হতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রসব ব্যথায় ছটপট করতে থাকেন রেহেনা।
এ অবস্থায় ওই ক্লিনিকের কর্তব্যরত নার্সসহ অন্যরা চিকিৎসক শারমিন আক্তারকে বারবার মোবাইলে ফোন করে তাকে আসতে বলেন। কিন্তু শারমিন আক্তার পরে আর যাননি। বিকেল ৪টার দিকে রেহেনা আরও বেগতিক হয়ে পড়লে সেখানকার নার্সরা তার সন্তান প্রসবের কাজ শুরু করেন। শেষে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে রেহেনা একটি মৃত ছেলে সন্তান প্রসব করেন।
তবে ঘটনার পর শারমিন আক্তার বলেন, ওই প্রসূতির অবস্থা ভালো ছিল না। সে কারণেই শিশুটি মৃত অবস্থায় জন্ম নিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৫