ঢাকা: ‘দশের লাঠি একের বোঝা’ প্রবাদটি যেন মোখলেছুর রহমান সাগরের বেলায় একেবারেই বেমানান! দেশব্যাপী জ্বালাও-পোড়াওয়ের বিরুদ্ধে একাই পথে নেমেছেন তিনি।
পাইপে প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে ও লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে অন্যরকম এ প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সাগর।
শুক্রবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রধান ফটক বরাবর দাঁড়িয়েছিলেন সাগর। এ সময় তিনি বাংলানিউজকে প্রতিবাদের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
রাজধানীর একটি কলেজের শিক্ষার্থী সাগর ছুটির দিনে জাতীয় প্রেসক্লাব ছাড়াও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মোড়, শাহবাগসহ অন্যান্য এলাকায় ঘুরে ঘুরে প্রতিবাদ জানান।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, দেশব্যাপী নানা অন্যায় ও অপরাধের বিরুদ্ধে বিবেকের তাড়নায় একাই প্রতিবাদ করে যাচ্ছি। প্রতিবাদ করতে কাউকে ডেকে আনতে হবে, তা আমি বিশ্বাস করি না। মনে করি তরুণ শক্তি অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে, অন্যায়কে তারা প্রশ্রয় দেবে না।
‘আমার বিশ্বাস দেশের লাখো কোটি তরুণ একদিন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠবে। ’—দৃঢ় প্রত্যয়ে বলেন সাগর।
তেজগাঁও কলেজের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র সাগর জাতীয় পতাকার সঙ্গে ১১টি প্ল্যাকার্ডও ঝুলিয়ে রেখেছেন। বর্তমান সংকট নিরসনে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতারও আহ্বান জানানো হয়েছে এসব প্ল্যাকার্ডে।
এসব প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুনে লেখা আছে- ‘দল নয় দেশ বড়, মায়ের বুক ফাটা কান্না আর না’, ’৭১ এর মা জননী কোথায় তোমার মুক্তিসেনার দল’, ‘৪৩ বছর পরও আমি স্বাধীনতাটাকে খুঁজছি’, ‘হে...জননেত্রী দেশের জনগণ শান্তি চায়’, ‘হে...মানুষ ঢাকা মেডিকেলে যাও, আর্তের পাশে দাঁড়াও’, চাই সমঝোতা, চাই শান্তি’, ‘প্রতিবাদের ভাষা হোক গান’ এবং ‘বিপন্ন মানবতা ইত্যাদি।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে জন্ম নেওয়া মোখলেছুর রহমান সাগর জানান, গত বছরের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে যে রাজনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে, প্রথম থেকেই নিজ অবস্থান থেকে এর প্রতিবাদ জানিয়েছি।
এছাড়া মাইকেও বিভিন্ন জন সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়েছেন তিনি।
মুন্সীগঞ্জের মাওয়াতে লঞ্চ ডুবির ঘটনায় উদ্ধার অভিযানে সরকারের অবহেলা ছিল অভিযোগ করে সাগর জানান, এ ঘটনার প্রতিবাদেও একইভাবে একা একা প্রতিবাদ জানিয়েছে।
তার ভিন্নরকম এ প্রতিবাদে নানা ধরনের সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনও একাত্ম জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৫