ঢাকা, সোমবার, ২৯ পৌষ ১৪৩১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নিপুন হত্যায় মামলা

রহস্য উদঘাটনে থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৫
রহস্য উদঘাটনে থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম ছবি: জি এম মুজিবুর /বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ইত্তেফাকের সাবেক উপদেষ্টা সম্পাদক আখতার-উল আলমের মেয়ে ফাহমিদা আখতার নিপুন (৪৫) হত্যার ঘটনায় রামপুরা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

শুক্রবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে নিহতের ভাই রোজোয়ান আহমেদ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।



এদিকে, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের বাড়ির দারোয়ান ও কাজের বুয়াকে থানায় আটক রাখা হয়েছে।   রামপুরা থানা পুলিশ সূত্র বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্রটি জানায়, হত্যার দু’টি কারণ নিয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম।

থানার অপারেশন অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বিকেল ৪টার দিকে নিহতের ভাই রেজোয়ান আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তিনি বলেন, হত্যার ধরন দেখে মনে হয়েছে, এটি পূর্ব পরিকল্পিত। আর হত্যায় একাধিক লোক অংশগ্রহণ করেছে। তাকে হাত-পা বেঁধে গলায় গামছা ও ওড়না পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া নিহতের মুখে মরিচের গুড়ার আলামত পাওয়া গেছে।

কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড- সেটি এখন পর্যন্ত পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, ওই বাসায় তার সঙ্গে দেখা করতে কে কে এসেছিল, তা জানার জন্য বাড়ির দারোয়ানকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পাশাপাশি কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল কি না, তা জানার জন্য পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।

কাজের বুয়াকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে বলে জানান থানা পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ধারণা বৃহস্পতিবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে থাকতে পারে। চাঞ্চল্যকর এই হত্যা রহস্য উদঘাটনে থানার একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।

নিহতের ভাই রেজোয়ান আহমেদ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, কে হত্যা করতে পারে, সে বিষয়ে ধারণা করতে পারছি না। কারও সঙ্গে ওর শত্রুতা ছিল না।

এদিকে থানা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে দু’টি কারণ নিয়ে একাধিক টিম কাজ করছে। প্রথমটি হলো, তিনি যে ফ্ল্যাটে থাকতেন সেটি তাদের নিজের ছিল। তিনি ওই ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। স্বামী গোলাম রাব্বানি থাকেন বাহরাইনে, আর ছেলে সিরাতুম মুস্তাকিন থাকেন আমেরিকায়। তাই কোনো গোষ্ঠী ফ্ল্যাটটি দখল নিতে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে থাকতে পারে।

দ্বিতীয়ত হলো, তিনি অ্যাডভোকেট ছিলেন। কোনো মামলা নিয়ে কারও সঙ্গে বিরোধ থাকতে পারে। আর এ বিরোধ থেকেই হত্যার পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন হতে পারে।

সূত্রটি জানায়, হত্যার সময় ঘাতকরা নিপুনের ব্যবহৃত মোবাইলটিও নিয়ে গেছে। তাই প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘাতকদের খোঁজে কাজ শুরু করে দিয়েছে।

অন্যদিকে, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম হত্যার রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেফতারে কাজ করছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর হাতিরঝিল সংলগ্ন মহানগর প্রজেক্ট আবাসিক এলাকার ৫নং রোডের ১০৫ নম্বর বাসার পঞ্চমতলা থেকে ফাহমিদা আখতার নিপুনের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে রামপুরা থানা পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।