রংপুর: রংপুরে রেলের টিকিট কালোবাজারিদের হাতে তুলে দিয়ে প্রতিদিন আণুমানিক ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন স্টেশনের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা।
২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধের কারণে ঢাকাগামী রংপুর এক্সপ্রেসে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।
সম্প্রতি যাত্রীদের চাপ বাড়ায় ট্রেনটিতে অতিরিক্ত ৩টি বগি সংযুক্ত করা হয়। তিনটি বগির ১৫০ আসন বরাদ্দ রয়েছে রংপুর স্টেশনের জন্য। ফলে রংপুর স্টেশন থেকে ৩৫০ আসনের বেশি টিকেট যাত্রীদের হাতে দেয়ার কথা। যার মধ্যে ১ম শ্রেণী বাথ ১২টি, প্রথম চেয়ার ৫০টি, শোভন চেয়ার ১১২টি ও ১৫০টি সাধারণ শোভন। কিন্তু এর অর্ধেক টিকেটও পাচ্ছেন না লাইনে দাঁড়ানো যাত্রীরা। হাতে গোনা ১০টি শোভন চেয়ার ও ৭০/৮০টি সাধারণ শোভন আসনের টিকেট দিয়ে কাউন্টার থেকে বলা হয় টিকেট শেষ হয়।
কিন্তু যাত্রীদের টিকিট কিনতে গুণতে হয় দ্বিগুণ টাকা। অর্থ্যাৎ ১ম শ্রেণী বাথ প্রতি আসন ৯৩০ টাকার স্থলে ১৫০০-১৮০০ টাকা, ১ম চেয়ার ৬২০ টাকার স্থলে ১০০০ টাকা, শোভন চেয়ার ৪৬৫ টাকার স্থলে ৭০০-৮০০ টাকা এবং সাধারণ শোভন ৩৯০ টাকার স্থলে ৬০০-৭০০ টাকা।
অভিযোগ উঠেছে, রংপুর স্টেশনের বুকিং ক্লার্ক রফিকুল ইসলাম পিয়াল, ভারপ্রাপ্ত সুপার শেখ আব্দুল জব্বার, রেলওয়ে জিআরপি পুলিশ সদস্যরা তাদের লোক দিয়ে টিকেট কালোবাজারীর করে থাকেন। তারা প্রতিটি আসনের বিপরীতে ১৫০-৩০০ টাকা বেশি নিয়ে কালোবাজারীদের হাতে টিকেট দিচ্ছেন। আর প্রকাশ্যেই দ্বিগুণ মূল্যে টিকেট বিক্রি করছে কালোবাজারীরা।
আর এভাবেই গড়ে প্রতিদিন রেল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করছেন।
বুকিং ক্লার্ক রফিকুল ইসলাম পিয়াল, ভারপ্রাপ্ত সুপার শেখ আব্দুল জব্বার তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তারা বলেন, যাত্রীবেশে কালোবাজারীরা টিকেট সংগ্রহকরে বেশি দামে বিক্রি করছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য লালমনিরহাট বিভাগীয় ট্রাফিক সুপার মোস্তাফিজার রহমানের সঙ্গে ফোনে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজশাহীর জিএম আঃ আউয়াল ভূঁইয়া বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘন্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৫