ঢাকা: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন খান বীরবিক্রম বলেছেন, পরীক্ষা পিছিয়ে দিলে কিছুই হবে না। আগে জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা দেওয়া হোক।
শনিবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপের একশ' দুইতম পর্বে প্যানেল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন ও বিবিসি বাংলার যৌথ আয়োজনে আকবর হোসেনের উপস্থাপনায় আলোচনায় আরো অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রওনক জাহান ও সুপ্রিম কোটের আইনজীিব ড. শাহদীন মালিক।
দর্শকের প্রশ্নের জবাবে হাফিজ উদ্দিন আরো বলেন, যে দেশে আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্র নেই, সে দেশে পরীক্ষা পরেও নেওয়া যাবে।
পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তারা রাজনৈতিক দলের নেতাদের মতো আচরণ করছেন। বলপ্রয়োগ করে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। কারণ, কোকোর জানাজায় মানুষের উপস্থিতি দেখে বোঝা যায়, বিএনপির প্রতি সমর্থন আছে কি-না।
তারা শুধু কোকোর একা নয়, সরকারের জানাজাও পড়তে এসেছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দর্শকের প্রশ্নের জবাবে হাফিজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সান্ত্বনা দিতে যাওয়ার আগে একটি মামলার হুকুমর আসামি করেছেন। কি করে বুঝবো, সান্ত্বনা নামে নাটক করেননি।
পেট্রোল বোমা ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে মারা শিখিয়েছিল। ১৯৯৫ সালে শেরাটন হোটেলের সামনে পেট্রোল বোমা মারার কথা শেখ সেলিম স্বীকার করেছেন।
আমাদের নেতারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে। তাই আন্দোলন ছাড়া বিকল্প কিছু নেই। যা কিছু অর্জিত হয়েছে রাজপথেই। জনগণ সঙ্গে আছে, সংলাপ না হলেও আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে।
হাফিজ আরও বলেন, চলমান সমস্যা প্রধানমন্ত্রী কালকেই সমাধান করতে পারেন। পদত্যাগ করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করলেই সমাধান হয়ে যাবে।
এটা করবেন না প্রধানমন্ত্রী কারণ, তারা একনায়কতন্ত্র কায়েম করার জন্য জনগন যা করলে মুখ ফিরিয়ে নেয় সরকার সেটাই করবেন
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৫