ঢাকা: বাংলাদেশ, ভারত, নেপল ও ভুটান উপআঞ্চলিক সহযোগিতার আওতায় বৈঠক করেছে। বৈঠকে দেশগুলোর সড়ক ও রেলপথ দিয়ে ট্রানজিটের বিষয়ে চার দেশ বিবিআইএন চুক্তিতে ঐক্যমতে পৌঁছেছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান উপআঞ্চলিক সহযোগিতার আওতায় নয়া দিল্লিতে দুই দিনব্যাপী জয়েন্ট ওয়ারকিং গ্রুপের দ্বিতীয় বৈঠক হয়। বৈঠকে পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ ও জলবিদ্যুৎ এবং যোগাযোগ ও ট্রানজিট নিয়ে আলোচনা করে চার দেশ।
বৈঠকে দেশগুলোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক তারিক মো. আরিফুল ইসলাম অংশগ্রহণ করেন। অভিন্ন স্বার্থে উপআঞ্চলিক সহযোগিতায় সম্ভাবনার এ সুযোগকে বৈঠকে স্বাগত জানানো হয়।
বৈঠকে চার দেশের বিদ্যামন যোগাযোগ ও ট্রানজিট চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করা হয়। সেখানে উপআঞ্চলিক সহযোগিতার আওতায় চুক্তির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছায় জয়েন্ট ওয়ারকিং গ্রুপ। রেল ও সড়ক পথে পণ্য পরিবহনে মতামত দেয় এবং এ বিষয়ে প্রস্তাব আদান-প্রদানে ঐক্যমত হয়। কমপক্ষে তিনটি দেশকে এতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়েও মত দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে একাধিক পরিবহনের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ও পর্যটকের প্রয়োজনীয়তা পুরনে সম্ভাবনা খোঁজার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়।
জয়েন্ট ওয়ারকিং গ্রুপ উপআঞ্চলিক সহযোগিতায় স্থল বন্দরে বাণিজ্য সুবিধা বাড়াতে মত দেয়। বৈঠকে উপআঞ্চলিক সহযোগিতার আওতায় বিদ্যমান বিদ্যুৎ ও জলবিদ্যুৎ সহযোগিতা পর্যালোচনা করা হয়। বৈঠকে আন্তঃদেশীয় গ্রিড যোগাযোগের মাধ্যমে ভবিষ্যত বিদ্যুৎ প্রকল্পে আরও সহযোগিতা-সম্ভবনা নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া ভবিষ্যতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে কমপক্ষে তিন দেশের মধ্যে সমতার ভিত্তিতে যৌথ বিনিয়োগরে বিষয়ে ঐক্যমত হয়।
জয়েন্ট ওয়ারকিং গ্রুপ চার দেশের বন্যা পূর্ভাবাস এবং বন্যার ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো নিয়ে তথ্য আদান-প্রদান করে। এছাড়া এ বিষয়ে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক চুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়। সেই সঙ্গে তীরবর্তী পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।
পরবর্তী জয়েন্ট ওয়ারকিং গ্রুপের বৈঠক বাংলাদেশে চলতি বছরের দ্বিতীয় ভাগে হওয়ার বিষয়ে ঐক্যমত প্রকাশ করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৫