নোয়াখালী: লক্ষ্মীপুরে যাত্রীবাহী বাসে অবরোধ সমর্থকদের নিক্ষেপ করা বোমায় নিহত হওয়া বাস চালক মো. সুমনের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর নাটেশ্বর গ্রামে দাফন করা হয়েছে।
শনিবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এরআগে, সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত শেষে সুমনের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছলে বাড়ি ও পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।
জানা যায়, মো. সুমন (৩৫) নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি চাঁন মিয়ার ছেলে।
নিহত সুমনের বাবা চাঁন মিয়া বাংলানিউজকে জানান, পাঁচ ভাই, তিন বোনের সংসারে ছোট বয়স থেকেই ওয়ার্কসপে কাজ করতো সুমন। এরপর প্রথমে বাসের হেলপার, কন্ডাক্টর হয়ে কয়েক দিন আগে সে চালক হয়। স্ত্রী তাহমিনা আক্তার মিনু, দুই ছেলে মেয়ে এমাম হোসেন (০৭) ও মেয়ে তানজিনা আক্তার (০৫) নিয়ে চট্টগ্রামে থাকতো। সম্প্রতি লক্ষ্মীপুরে বাসা ভাড়া করে নিয়ে সেইখানে থাকা শুরু করে।
তিনি কান্না ও ক্ষোভভরা কণ্ঠে আরও বলেন, বর্তমানের সহিংস রাজনীতিই তার ছেলেকে কেড়ে নিয়েছে। তিনি এটিকে ‘হত্যাকাণ্ড’ আখ্যা দিয়ে এর বিচার দাবি করেন।
শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাট থেকে ২০/২২ জন যাত্রী নিয়ে আশিক পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাস চট্টগ্রাম যাচ্ছিল। বাসটি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের কাছিদ বাড়ির সামনে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা চালককে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে। এতে চালক সুমন গুরুতর আহত হয়।
পরে স্থানীয়রা সুমনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তির পর অবস্থার অবনতি দেখা দেয়। নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৫