ঢাকা, সোমবার, ২৯ পৌষ ১৪৩১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

পানের উপযোগী হচ্ছে ৫০ কোটি লিটার ভূ-উপরিস্থ পানি

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৫
পানের উপযোগী হচ্ছে ৫০ কোটি লিটার ভূ-উপরিস্থ পানি

ঢাকা: নলকূপের পানির ওপর নির্ভরতা কমানোর জন্যই দৈনিক ৫০ কোটি লিটার ভূ-উপরিস্থ পানি পানের উপযোগী করা হচ্ছে বলে ঢাকা ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে।

পানির নিম্নস্তর গভীরে চলে যাওয়ার কারণে ভূ-উপরিস্থ পানির উৎসকে অন্যতম অবলম্বন হিসেবে চিন্তা করছে ঢাকা ওয়াসা।


 
নগরীতে প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ মানুষ বসবাস করেন। প্রতি বছর ঢাকা নগরীতে ৫ শতাংশ হারে মানুষ বাড়ছে এবং ২০২০ সাল নাগাদ এ নগরীর জনসংখ্যা ১ কোটি ৮০ লাখে পৌঁছাবে। বর্ধিত জনগোষ্ঠির পানির চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে দৈনিক অতিরিক্ত ৫০ কোটি লিটার পানি উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা।

বর্তমানে প্রতিদিন ২৪০ কোটি লিটার পানি উৎপাদিত হয়, যার ৮০ শতাংশই ভূ-গর্ভস্থ পানি। ৬৭০টি গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করা হয়। অবশিষ্ট ২০ শতাংশ পানি ভূ-উপরিস্থ উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়। পাঁচটি শোধনাগারের মাধ্যমে এই পানি উত্তোলন করা হয়।
 
এবার দৈনিক ৫০ কোটি লিটার ভূ-উপরিস্থ পানি খাওয়ার উপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা।
 
ঢাকা ওয়াসা মনে করে, নগরবাসীর জীবনযাত্রার মান বেড়ে যাওয়ায় পানির ব্যবহারও বাড়ছে। ২০২০ সাল নাগাদ ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ শহরে প্রতিদিনের পানির চাহিদা হবে ৩০০ কোটি লিটার।
 
ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন সিটি, নারায়ণগঞ্জ সিটি  এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঢাকা ওয়াসা পানি সরবরাহ করে থাকে।
 
‘অন্তর্বতীকালীন পানি সরবরাহ প্রকল্পে’-এর আওতায় দৈনিক ৫০ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করা হবে। মূলত মেঘনা ও পদ্মা নদীতে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করে অতিরিক্ত পানি উৎপাদন করবে ঢাকা ওয়াসা। ফলে নগরবাসী মেঘনা ও পদ্মার পানি পান করবে।
 
ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান বাংলানিউজকে বলেন, নগরীতে ঢাকা ওয়াসা যে পানি সরবরাহ করে তার ৮০ শতাংশই ভূ-গর্ভস্থ পানি। এই স্তর দিন দিন অনেক নিচে নেমে যাচ্ছে। ফলে আমরা ভূ-উপরিস্থ পানির উৎসকে গুরুত্ব দিচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, দৈনিক নগরীতে অতিরিক্ত ৫০ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হবে, যার অন্যতম উৎস হবে ভূ-উপরিস্থ।
 
তিনি আরো বলেন, পদ্মাতেও ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে। পানির স্তর দিন দিন ভূ-পৃষ্ঠের নিচের স্তরে চলে যাচ্ছে। সেজন্য আমরা ভূ-পৃষ্ঠের ওপরের পানি পান উপযোগী করতেই এই প্রকল্প হাতে নিয়েছি।
 
ঢাকা ওয়াসা সূত্র আরো জানায়, ইতোমধ্যেই তিনটি বড় ধরনের শোধনাগারের মাধ্যমে নদীর পানি খাওয়ার উপযোগী করা হচ্ছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে এ তিনটি শোধনাগার থেকে দৈনিক ৫০ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে।   তবে  এজন্য ঢাকাবাসীকে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি ২০১৫ সালের মার্চ থেকে ২০১৮ সালের জুন নাগাদ বাস্তবায়িত হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১০১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।