ঢাকা: নিজের পকেটের টাকায় কখনও শেরাটন হোটেলে খেয়েছেন! খান-নি। তাহলে কোম্পানির এজিএম শেরাটনে করলেন কেন ?
ভোক্তার টাকায় উল্লাস করার অধিকার কে দিয়েছে আপনাকে।
শেরাটন হোটেলে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) এজিএম করায় জিটিসিএল পরিচালক (অর্থ) শরিফুর রহমানকে উদ্দেশ্যে এমন প্রশ্ন ছুড়ে দেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন চেয়ারম্যান (বিইআরসি) চেয়ারম্যান এ আর খান।
সোমবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) জিটিসিএল’র হুইলিং চার্জ বৃদ্ধির গণশুনানিতে এমন প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়।
ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা শামসুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে জিটিসিএল পরিচালক অর্থ জানায়, প্রত্যেক বোর্ড মিটিংয়ে উপস্থিতির জন্য বোর্ড সদস্যদের ৬ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে প্রফিট বোনাস হিসেবে প্রত্যেক স্টাফকে (এমডি ছাড়া) প্রায় ৪ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়।
তার এই বক্তব্যের জবাবে বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, বছরে কতটি বোর্ড মিটিং হয় এবং তার এজেন্ডা কী ছিল, বিস্তারিত কমিশনে জানাবেন। আমরা বিশ্লেষণ করে দেখবো অযথা বোর্ড মিটিং করা হয়েছে কি-না।
ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেন, ধারাবাহিকভাবে মুনাফা বাড়ছে। তাহলে কেন দাম বাড়াতে হবে। এমন প্রশ্নের জবাবে জিটিসিএল’র পক্ষ থেকে বলা হয়। আগামীতে অনেক বিনিয়োগ দরকার হবে তাই এই অর্থের প্রয়োজন।
জিটিসিএল প্রতি ঘনমিটারে হুইলিং চার্জ ৩২ পয়সা থেকে ১৫ পয়সা বাড়িয়ে ৪৭ পয়সা করার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তবে বিইআরসি কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি বলেছে, জিটিসিএল ২০১৩-১৪ অর্থবছরে কর পরবর্তী ৪২৫ কোটি টাকা মুনাফা করেছে বিদ্যমান দরে।
কোম্পানিটি পরিচালনার জন্য প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের হুইলিং চার্জ প্রয়োজন পড়বে ১৩ পয়সা। যা বর্তমান দর থেকে ১৯ পয়সা কম বলে জানিয়েছে কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।
গণশুনানি গ্রহণ করছেন বিইআরসি’র চেয়ারম্যান এরআর খান, সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ, প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন, মাকসুদুল হক ও রহমান মুরশেদ।
প্রথমবারের মতো গ্যাসের হুইল চার্জ বৃদ্ধির উপর এই গণশুনানি গ্রহণ করা হচ্ছে। এতদিন নির্বাহী আদেশে এই হুইলিং চার্জ নির্ধারণ করা হতো।
** গ্যাসের হুইলিং চার্জ ৪৭ পয়সা করার প্রস্তাব
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৫