ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য ও ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য নিউ এজ’ এর রিপোর্টার নাজমুল হুদা সুমন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী খাইরুজ্জামান শুভর ওপর অমানবিক নির্যাতনকারী এসআই সুমনের শাস্তির নিশ্চিত করার জন্য ২৪ ঘণ্টা আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।
সোমবার ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ আল্টিমেটাম দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি(ঢাবিসাস)।
সমিতির সভাপতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, পুলিশ আইন ভঙ্গ করে বাইক চালাচ্ছে। নাজমুল সে দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করতে গিয়ে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন। এসময় তারা নাজমুল ও তার বন্ধু শুভকে ধরে গাড়িতে তুলে বন্দুক দিয়ে পেটায় এবং পায়ের বুট দিয়ে নির্মমভাবে লাথি মারতে থাকে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থী হিসেবে পুলিশের এ অমানবিক নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানাই, এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
সাধারণ সম্পাদক সানাউল হক সানী বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে পুলিশের এ অমানবিক আচরণ আজ আমাদের বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে। মানুষের শেষ ভরসা পুলিশ। সে পুলিশই যদি হয় এতো হিংস্র হয় তাহলে মানুষ যাবে কোথায়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই এসআই’র দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
এদিকে এসআই হাসান সুমনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোমবার সকাল থেকে দফায় দফায় মানববন্ধনসহ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে প্রগ্রতিশীল ছাত্রসংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।
ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসান তারেক বলেন, পুলিশ দিন দিন যেভাবে অমানবিক আচরণে মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে তা খুব ভালো লক্ষণ নয়। আজ সাংবাদিক নাজমুলের ওপর, কাল আমার ভাইয়ের ওপর,তারপর আমার ওপর চড়াও হবে পুলিশ। আইন ভঙ্গের ছবি তুলতে গিয়ে মার খেয়েছে নাজমুল। এটি একটি স্বাধীন দেশে কোন ধরনের অসভ্য আচরণ তা আমাদের বোধগম্য নয়।
অপর এক মানবন্ধনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, যে কোনো মানুষ বিপদে পড়লে পুলিশের কাছে যায়। অথচ সে পুলিশ যদি মানুষের সঙ্গে এমন পৈশাচিক আচরণ করে সেটি ভাবতেই অবাক লাগে। নাজমুল ও তার বন্ধু শুভ নিজেদেরকে সাংবাদিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয় দেওয়ার পরও তাদের ওপর পুলিশ যেভাবে চড়াও হয়েছে সেটি সত্যিই অভাবনীয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এবং দোষী পুলিশের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৫